জনতার হাতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অবরুদ্ধ!


বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমানুল্লাহ আল-মামুনকে স্থানীয় জনতা ঘুষ, দুর্ণীতি, দায়িত্বপালনে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগে সোমবার সকাল ১০ টা থেকে তাঁর অফিস কক্ষে তালাবন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ সময় তাঁরা অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণ সহ তাঁর বিরুদ্বে সকল অভিযোগের তদন্ত দাবী করে শ্লোগান দেয় এবং হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে মিছিল করে।
স্থানীয় শতাধিক নারী,পুরুষ হঠাৎ হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুনকে অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে থাকে। এক পর্যায় তারা আবাসিক ভবনে গিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে এবং হাসাতালে তাঁর অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখে অবস্থান নেয়।
বেতাগী থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে এলে বিক্ষুব্ধ জনতার বাঁধার মুখে পরে। এসময় অবরোধকারীরা বলেন, ডাঃ আমানউল্লাহ যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম দুর্ণীতি শুরুর পাশাপাশি অধীনস্থদের সাথে অসদাচরণ শুরু করেন। স্বাস্থ্য কর্মীদের বিভিন্ন কাজের বিল থেকে কমিশন কেটে রাখা, টিকা কর্মীদের বরাদ্দ থেকে টাকা দিতে বাধ্য করা,পোশাক বরাদ্দের টাকা দিয়ে কর্মচারীদের পোশাক না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, প্রশাসনিক সামগ্রী ক্ষয়ে দুর্ণীতি, সহ স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ দেয়া হয়। সেবা গ্রহণকারী ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির, ভাইস চেয়ারম্যান অমিরুল ইসলাম পিন্টু ঘটনাস্থলে পৌছে জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এর আগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারন দাবিতে থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে কমিঊনিটি ক্লিনিকগুলোতে অচলাবস্থা ও রোগীদের দূর্ভোগের সৃষ্টি হলে বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান সরেজমিনে এসে কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর দাবি পূরণের আশ্বাসে গত ২৪ মে রাতে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যাবধি তাকে অপসারণ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জনতা ও কর্মচারীরা।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে জনতাকে শান্ত করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তাঁর সু-সম্পর্কের অভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে যাতে দ্রুত প্রত্যাহার করা নেওয়ার বিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসক মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে অবহিত করেছেন।
এইচকেআর
