ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

Motobad news

 আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি চান তারা 

 আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি চান তারা 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের নয় নেতাকর্মী দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির হাতে অব্যাহতির আবেদন তুলে দেওয়া হয়।

অব্যাহতি চাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- সুখানপুকুর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক উদয় সিংহ, উপ প্রচার সম্পাদক পিন্টু মিয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুমন কর্মকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মিঠু অধিকারী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার আলী, সদস্য সাধন সরকার ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য খোকন সরকার।

আসন্ন সুখানপুকুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন দলের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর রহমান। তবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তার বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন উপজেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী মিন্টু।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সুখানপুকুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এজন্য সুখানপুকুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তবে দলের পক্ষ থেকে জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী মিন্টু। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে থেকে যান এবং পরে দল থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও আগ মুহূর্তে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হক গোল্লার মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন নতুন তারিখ ঘোষণা করে।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর রহমানের পক্ষে প্রচারণায় অংশ না নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকায় দলের পক্ষ থেকে সুখানপুকুর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং উপ-প্রচার সম্পদাক পিন্টু মিয়াকে শুক্রবার শোকজ করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নীলাদ্রি শেখর বিদুর সই করা ওই শোকজের জবাব শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছিল। তবে তার আগেই ওই তিন নেতাসহ মোট নয়জন শোকজের জবাবের পরিবর্তে সরাসরি অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

সুখানপুকুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলাদ্রি শেখর বিদু অব্যাহতিপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের অব্যাহতিপত্র পেয়েছি। নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অব্যাহতি চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুখানপুকুর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমরা অব্যাহতি চেয়েছি। নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।

গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফি নেওয়াজ খান রবিন বলেন, সুখানপুকুরের নয় নেতাকর্মী দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ভালো বলতে পারবেন।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন