বেতাগীতে আড়াই যুগেও পুনঃস্থাপিত হয়নি বিচারিক আদালত


বরগুনার বেতাগীতে বিচারিক আদালত না থাকায় এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বেতাগী থেকে জেলা সদরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক সাক্ষী উপস্থিত করানো সম্ভব হয় না। ফলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা মহকুমা থাকাকালীন ১৯৬৯ সালে বেতাগীতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
এরশাদ সরকারের শাসনামলে উপজেলা প্রতিষ্ঠার সুবাদে থানা আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। বিএনপি সরকারের সময় ১৯৯২ সালে বেতাগী উপজেলা থেকে আদালত জেলা সদরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর থেকে বিচারিক আদালতের অবকাঠামো ভবন, হাজতখানা, পুলিশ ব্যারাকের কক্ষসমূহ সহকারী কমিশনার ভূমি ও সাবরেজিস্ট্রারের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হাজতখানা এবং পুলিশ ব্যারাকের ব্যবহৃত আসবাবপত্র ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে গেছে। কক্ষগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
বিচারিক আদালতের পুনঃস্থাপনের দাবিতে বিভিন্ন সময় সেমিনার, আদালত বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি মানববন্ধন করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রদান করা হয় স্মারকলিপি। তৎকালীন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আদালত পুনঃস্থাপনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২০ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বেতাগী সফরকালে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিচারিক আদালত পুনঃস্থাপনে একটি দাবি তোলা হয় এবং ওই সময় একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট বিমান কান্তি গুহ ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান জানান, প্রশাসনিক জটিলতায় মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।
বেতাগী থেকে জেলা সদর বরগুনার দূরত্ব ৩৭ কিলোমিটার। দূরত্ব বেশি হওয়ায় মামলার প্রয়োজনীয় সাক্ষী সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে, আদালতের কার্যক্রম বহাল না থাকায় বেতাগী উপজেলা সদরে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আদালত ভবন দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে।
বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ এ বি এম গোলাম কবির বলেন, উপজেলা সদরে আদালত পুনঃস্থাপনে সরকারের যে নীতিমালা রয়েছে তার সবই এখানে বিদ্যমান। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ভবন, হাজতখানা, পুলিশ ব্যারাক, বৈদ্যুতিক সংযোগসহ অন্যান্য ব্যবস্থাও রয়েছে।
বরগুনার বেতাগীতে বিচারিক আদালত, ১৯৯২ সালে উপজেলা থেকে জেলা সদর বরগুনায় এর কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়।
এইচকেআর
