ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম

মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থা মুসুল্লিকে লাথি!

মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থা মুসুল্লিকে লাথি!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিণ ঘোপখালীতে মসজিদে নুরুল হক (৩৫) নামের এক মুসল্লিকে নামাজ পড়া অবস্থা লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জলিল (৪৫)নামের এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে ।

বামনা উপজেলার পূর্ব গোপখালী গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর আল-আকসা জামে মসজিদে স্থানীয় আরশেদ আলীর ছেলে জলিল হাওলাদার তার প্রতিবেশী খবির উদ্দিনের ছেলে নুরুল হক নামের এক মুসল্লিকে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেন। এর পরেও তিনি মসজিদে আসায় তাকে লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এ সময়ে মুসল্লি নুরুল হক তার বুকে প্রচন্ড আঘাত পান। পরে অন্যান্য মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা অন্যান্য মুসল্লিদের মধ্যে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

গত বুধবার শবে কদর রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ছগির, নুরুল ইসলাম, আ: ছামাদ হাওলাদার ও ইসমাইল হাংসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শবে কদর রাতে আমরা সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে আসি। পরে আরশেদ আলীর ছেলে জলিল হাওলাদার একই এলাকার খবির উদ্দিনের ছেলে নুরুল হককে বলে তোকে আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেছি তার পরেও আসছ কেন । এখন তোকে এর মজা বুঝামু। এ কথা বলেই তাকে জায়নামাজে থাকা অবস্থায় লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এ সময় নুরুল হক তার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী নুরুল হক জানান, আমি দীর্ঘদিন হাওলাদার বাড়ির আল-আকসা জামে মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছি । এই মসজিদ ছাড়া আমাদের বাড়ির কাছাকাছি আর কোনো মসজিদ না থাকায় এখানে এসে নামাজ পড়তে হয় কিন্তু ওই বাড়ির প্রবাসী জলিল সে আমাকে তাদের বাড়ির মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেন। তাদের মসজিদে নামাজ পড়তে এলে সে মেরে ফেলবে বলে নানা হুমকি দেয়। এসব বিষয় নিয়ে নানা কথা কাটাকাটি হয়। পবিত্র শবে কদরের নামাজ তাদের মসজিদে পড়তে এলে তারা আমাকে গালমন্দ করে একপর্যায়ে আমাকে লাথি মেরে মসজিদের ফ্লোরে ফেলে দেয়। তখন বুকে আঘাত পাই।

তিনি বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত প্রবাসী জলিল হাওলাদার জানান, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি । এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

৩ নম্বর রামনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ বিষয়ে আমি লিখিত একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


 
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বশিরুল আলম জানান, এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ