লিভারের সমস্যা: বুঝবেন কিভাবে?
_24_APRIL3.jpg)

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল যকৃত বা লিভার। খাবার হজম করাই এর মূল কাজ। পাশাপাশি বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে লিভার। লিভার যদি স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। সাধারণত লিভার খারাপ হলে শরীরে নানা লক্ষণ ফুটে ওঠে।
জন্ডিস: এই রোগ হলে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। এমনকী প্রস্রাবও গাঢ় হলুদ রঙের হয়। জন্ডিস হলে লিভার বিলিরুবিনকে শোষণ করতে পারে না।
ত্বকে চুলকানি: লিভারের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হলে ত্বকের নিচে উচ্চ মাত্রার পিত্ত লবণ জমে। ফলে চুলকানি হয়। বেশিরভাগ ত্বকের সমস্যাই খারাপ লিভারের কারণে হয়। তবে সব চুলকানির কারণই পিত্ত লবণ নয়। অন্যান্য কারণেও হয়।
খাবারে অনীহা: লিভারে উৎপন্ন পিত্ত রস খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই যখন লিভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না তখন হজমে সমস্যা হয়। ফলে খিদে কমে যায়। এর ফলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
রক্তপাত: যদি ক্ষত নিরাময়ে বেশি সময় লাগে তাহলে বুঝতে হবে লিভারের সমস্যা হয়েছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেটে ছড়ে গেলে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট প্রোটিনের অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না বা ঘা হয়। এই প্রোটিন লিভারেই তৈরি হয়। লিভার যদি স্বাভাবিক কাজ না করে তাহলে প্রোটিন তৈরি ব্যহত হয়। অনেক সময় লিভারের সমস্যায় ভুগলে রক্ত বমি বা মলের সঙ্গে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
মনোযোগের অভাব: লিভার রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ফিল্টার করতে না পারলে শরীরের অন্যান্য কাজ ব্যহত হয়। শরীরের টক্সিন জমতে শুরু করে। যা স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। বিভ্রান্তি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, খিটখিটে মেজাজ লিভারের সমস্যার লক্ষণ।
অন্যান্য লক্ষণ: লিভারের সমস্যার আরও কিছু উপসর্গ আছে। যেমন -পাঁজরের একটু নিচে, পেটের ডান দিকে ব্যথা হলে সাবধান হতে হবে। এটি যকৃতের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া পেট ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, কাঁপুনি, সবসময় আচ্ছন্ন থাকা, বিভ্রান্তি ইত্যাদি হলে বুঝতে হবে লিভারের সমস্যা রয়েছে।
এমইউআর
