ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ‘মব জাস্টিস’ মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে : তারেক রহমান বৃহস্পতিবার শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ একজন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, একমত বিএনপি পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি : প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: ফয়জুল করীম আইএমএফের অর্থছাড়: ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভ বাকেরগঞ্জের কারখানা নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়চ্ছেন মানুষ পন্টুনের ধাক্কায় ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে, জেলে নিখোঁজ
  • ফেরিতে নিহতদের পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ

    ফেরিতে নিহতদের পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ
    ছবি : সংগৃহীত
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে পদদলিত হয়ে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    নোটিশে তিন দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া ফেরি পারাপারের যাত্রীদের ইন্স্যুরেন্সের আওতায় এনে ভবিষ্যতে এধরনের দুর্ঘটনায় ইন্স্যুরেন্স থেকে অর্থ প্রদানের জন্য এবং ফেরিঘাটে সংঘটিত দুর্ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    মানবাধিকার সংস্থা ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ই-মেইল ও কুরিয়ারযোগে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) এই নোটিশ দিয়েছেন।

    নোটিশটি পাঠানো হয়েছে নৌ-পরিবহনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর।

    এতে বলা হয়েছে ফেরিগুলো নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডাব্লিটিএ-এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারার ব্যর্থতার কারণেই এতগুলো প্রাণ অকালে ঝরেছে। দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় পাঁচজনের মৃত্যুসহ অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে আছেন যাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

    নোটিশে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউন চলাকালে দূরপাল্লা ও আন্তজেলা যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রয়েছে। যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। এতকিছুর পরও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে ঘরমুখো মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকানো যায়নি। হাজার হাজার মানুষ গত কয়েকদিনে পদ্মা নদী পার হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঘাটে জড়ো হয়েছে। লকডাউনের কারণে ফেরিগুলো বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিঘাটে অপেক্ষমাণ ছিল।

    বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিত সংখ্যক ফেরি চালু করলে হাজার হাজার মানুষ হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়েন। ফেরির যানবাহন রাখার খোলা জায়গায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। প্রখর রোদের তাপে ফেরি যখন বাংলাবাজার ঘাটের কাছাকাছি আসে, তখনই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন যাত্রীরা। পানির পিপাসায় হাঁসফাঁস করতে থাকেন তাঁরা। ফেরি ঘাটে পৌঁছলে অসুস্থ যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত পাওয়া যায়। এছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্ধশতাধিক যাত্রী।

    ফেরিগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ে পদদলিত হয়ে ও অক্সিজেনের অভাবে যাত্রীরা নিহত হন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।

     


    এমবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ