ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

পিরোজপুরে মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান!

পিরোজপুরে মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আল আমীন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ২নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়াম্যান মামলার আসামী হয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। অদৃশ্য ক্ষমতার কারণে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আলী আকবার। আজ শনিবার মামলার বাদী আহত আল আমিনের বাবা আলী আকবার অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও ৩৮ দিনেও গ্রেফতার হননি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে। আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে যোগদান করতে দেখা গেছে। 

এ ব্যাপারে অন্যতম সাক্ষী আল আমিন বলেন, এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত (২৮ মার্চ) রাতে আমাকে হাত পা বেধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গ্রেফতারকৃত মজিদ ও আলামসহ একদল যুবক। এরপর ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেই একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয় আমাকে। পরে আমার বাবা ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এর নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আল আমীনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে সানি হাওলাদারকেও আসামী করা হয়েছে। 

আল আমিননের বাবা আলী আকবার জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়াম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের লোকজন তার ছেলেকে মিথ্যা দোষারোপ করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের লোকজন নিয়মিত হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন মামলা তুলে নেয়ার জন্য। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই বিস্তারিত জানানো যাবে।

পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, তার নামে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। 

উল্লেখ্য, ইন্দুরকানী উপজেলার আল আমীন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেধে নির্যাতনের ঘটনায় ২নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার ও তার ছেলে সানি হাওলাদারসহ ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দেয়া হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিদ ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আলাম ফকিরকে গ্রেফতার করলেও চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সহ বাকী আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন