বরগুনায় করোনার অর্থ আত্মসাৎ করলো চেয়ারম্যান সোহাগ


হত্যা ধর্ষন চেষ্টা জমি দখল বাড়ী দখল দূর্নীতি সহ বিভিন্ন মামলায় আলোচিত বরগুনার ৮ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের বিরুদ্ধে করোনার অর্থ আত্মসাৎ সহ ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, মহামারী করোনার শিশু খাদ্য গো খাদ্যর টাকা বিতরন সহ চাল বিতরনের অর্থ মাষ্টারোল তৈরি করে ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বিতরনের নিয়ম থাকলেও চেয়ারম্যান ৮ টি চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়াও গ্রাম আদালত না করে ১ লক্ষ ২০ হাজার , এডিপির বরাদ্দ, ২৩০ টাকার স্থলে ১ হাজার ১ শত টাকা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য গ্রহন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ১২ টি প্রকল্পে ২২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬ শত ৬১ টাকা নামমাত্র কাজ করে অনেক জায়গায় না করে জিলা পরিষদের কাজ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। টিআর কাবিখার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যরা জানান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা , ধর্ষনচেষ্টা , জমি দখল , অর্থ আত্মসাৎ সহ দূদকের ৫ টি মামলা রয়েছে।
বিভিন্ন অনিয়মের কারনে এ বছর দলীয় মনোনয় না পাওয়ার কারনে স্বল্প সময়ে করোনার কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার কারনে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পরিষদের সিসি ক্যামেরা সরকারী সোলার প্যানেল চেয়ার টেবিলসব তিনি বাসায় নিয়ে গেছেন। পরিষদটিকে তিনি এখন গোয়াল ঘরে পরিনত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলননে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য নায়েব গোলাম, মোঃ রিয়াজুল, মোঃ আল মামুন , মোঃ পনু মৃর্ধা, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগ সম্পর্কে চেয়রম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ বলেন, করোনার অর্থ আমার কাছে আছে বিতরন হয়নি পরে বিতরন করা হবে। বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র । পরিষদের সিসি ক্যামেরা এবং সোলার প্যানের খুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , এগুলো আমার নিজের টাকায় কেনা আর সোলার প্যানেল আমার এখানথেকে ১০ নং নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদে দেয়া হয়েছে।
এইচকেআর
