আমতলীতে জমিতে চাষাবাদ না করেই ধান কাটার মামলা


বরগুনার আমতলীতে জমিতে চাষাবাদ না করেই ধান কাটার অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে আমতলী সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার দক্ষিন আমতলী গ্রামের মো. জহিরুল প্যাদা লিখিত অভিযোগে দেন । লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, আমতলী থানার অন্তর্গত নাচনাপাড়া মৌজার জে,এলনং-৫০,এস,এ খতিয়ানঃ ৪৭৯ এ ৩০৬৫/৩০৬৬/৩০৬৭/৩০৬৮/৩১০৯/৩১০৯/৩৪৩৪ দাগে ১.৩৮ একর জমি দীর্ঘ ৫০বছর যাবৎ ক্রয় সূত্রের মালিক থেকে ভোগ দখল করে আসছেন।
গত বছর জহিরুল প্যাদা গংরা উল্লেখিত জমি চাষাবাদ করে তাদের চাষকৃত ধান ইব্রাহিম হাওলাদার গংরা জোড় পূর্বক কেটে নিয়ে যায় । এঘটনায় জহিরুল প্যাদা বাদী হয়ে আমতলী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ইব্রাহিম গংদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার সি,আর নং ৬০৯/২০।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে বাদীর ঘটনা সত্য বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন । মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছেন।
চলতি বছরে জহিরুল প্যাদা গংরা ঐ জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে ইব্রাহিম গংরা বাধা বিঘ্নের সৃষ্টি করে চাষাবাদ বন্দ করে দেয়। বর্তমানে জমি অনাবাদি অবস্থায় আছে। কিন্তু ইব্রাহিম গংরা জহিরুল গংদের হয়রানি করার জন্য যে জমি আদৌও চাষাবাদ করা হয় নাই, সেই জমির ধান তারা কেটে নিয়ে গেছে মর্মে বিগত চলতি বছরের ৬ সেপ্টম্বর ঘটনা দেখিয়ে ইব্রাহিম হাওলাদার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জহিরুল প্যাদা গংদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ।অভিযোগকারী জহিরুল প্যাদা মিথ্যা মামলা দায়ের কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উচ্চ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এদিকে জহিরুল প্যাদার লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় উক্ত জমিতে কোন চাষাবাদ করা হয় নাই। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইব্রাহিম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন এবিষয় তিনি কোন কথা বলবেন না ।
এইচেকআর
