আমতলীতে ঝুঁকিপূর্ণ অর্ধ শতাধিক সেতু: দূর্ঘটনার আশংকা


বরগুনার আমতলীতে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে প্রায় অর্ধ শতাধিক আয়রণ সেতু। এই ঝুকিপূর্ণ সেতুগুলো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।সেতুগুলো দ্রুত সংস্কার ও নতুন করে সেতু নির্মাণ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খাল ও নদীতে মানুষের চলাচল সহজতর করতে ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর শতাধিক আয়রণ সেতু নির্মাণ করেন। এ সকল আয়রণ সেতুর মধ্য প্রায় অর্ধশতাধিক সেতু চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ আয়রণ সেতুর মধ্যে রয়েছে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর মুসুল্লীবাড়ী, চাউলা, মুন্সীরহাট, ইউপি অফিস সংলগ্ন, হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া, রহিমিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন, হলদিয়াহাট, মোল্লাবাড়ী। কুকুয়া ইউনিয়নের হাজারটাকা বাঁধ, কুকুয়াহাট মাদ্রাসা সংলগ্ন, আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন। চাওড়া ইউনিয়নের লোদা, কাউনিয়া স্কুল সংলগ্ন, আউয়ালনগর। গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী, আঙ্গুলকাটা লঞ্চঘাট, বাইনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন। আমতলী ইউনিয়নের মেলকারবাড়ী, আড়ুয়াবৈরাঘী। আড়পাঙ্গাগাশিয়া ইউনিয়নের জুগিয়া, তালুকদারবাড়ী সংলগ্ন, ঘোপখালী আয়রণ সেতুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সেতু । সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঝুকিপূর্ণ আয়রণ সেতুগুলোর রেলিং, স্লিপার ও আরসিসি ঢালাই উঠে যাওয়ায় ওই সকল সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া প্রতিনিয়িত ওই সকল আয়রণ সেতু দিয়ে ইট, বালি, সিমেন্ট ও অন্যান্য মালামাল বোঝাই করে ভারী যানবাহন ট্রলি ও ট্রাকটর পারাপার হওয়ায় সেতুগুলো অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৪/৫টি আয়রণ সেতু ধ্বসে পড়েছে। দ্রুত ঝুকিপূর্ণ আয়রণ সেতুগুলো সংস্কার ও নতুন সেতু নির্মাণ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ওই সকল সেতু ধ্বসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেন সাধারণ পথচারিরা ।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু এলাকার একাধিক বাসিন্ধারা জানায়, সেতুগুলো নির্মাণের সময় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বর্তমানে আয়রণ সেতুগুলোর অবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে । এতে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভবণা দেখছে তারা । আমতলী স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, উপজেলার প্রায় ৫০টি ঝুকিপূর্ণ আয়রণ সেতু চিহ্নিত করে ওই সকল স্থানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা এলজিইডির উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
এইচেকআর
