ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন

পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। বাইরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে রোগীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

জেলার সাত উপজেলা ও পাশের জেলার রোগীদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এ হাসপাতাল। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সরকারি ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা অনিশ্চয়তার মুখে।


সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চাপে পড়েছেন নার্সরাও। প্রতিদিন রোগী ও স্বজনদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসা তাসরিফ বলেন, আমি এখানে আজকে ভ্যাকসিন দিতে এসেছিলাম কিন্তু আমার যে ভ্যাকসিন প্রয়োজন সেটা আমি পাচ্ছি না। এখান থেকে বলছে বাহির থেকে কিনে আনতে। আমার মত অনেক সাধারণ মানুষ আছে যাদের কিনতে গেলে টাকা খরচ হচ্ছে এবং সময় নষ্ট হচ্ছে। সরকারের কাছে দ্রুত দাবি পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে যেন দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়।

বিড়ালের আঁচর দিলে ভ্যাকসিন নিতে আসে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ফারজানা আক্তার তিনি বলেন, এটা সরকারি হাসপাতাল। কুকুর কিংবা বিড়ালে কামড়ালে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেটা সরকারিভাবে দেওয়া উচিত। কিন্তু এখানে ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। ভ্যাকসিন না থাকায় আমাদের চারজন মিলে একটি ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। টাকা সময়সহ আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।

ভ্যাকসিন নিতে আসা ফয়সাল আমিন বলেন, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় আমাদের কিনে নিতে হচ্ছে। এটা সরকারি হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ কুকুরে এবং বিড়ালে কামড়ালে ভ্যাকসিন নিতে আসে। আমিও এসেছি কিন্তু এসে দেখি এখানে ভ্যাকসিন নেই। নার্স আপারা বলছে চারজন মিলে একটি ভ্যাকসিন কিনতে। সরকারি হাসপাতালে কেন ভ্যাকসিন টাকা দিয়ে কিনব।


দায়িত্বে থাকা নার্সরা বলেন, ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এখানে ভ্যাকসিন না থাকায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আমাদের তো কিছু করার নাই। যেহেতু ভ্যাকসিন নেই তাই বাইরে থেকে কিনে এনে ভ্যাকসিন দিতে হবে। রোগীর সুবিধার্থে এটা আমরা করতেছি। বর্তমানে ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। আমরা রোগীদের বলতে বাধ্য হচ্ছি বাইরে থেকে চারজন মিলে একটি ভ্যাকসিন কিনতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, প্রতি মাসে যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের চাহিদা থাকে সে পরিমাণে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না। কিছুদিন আগে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন এর চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে আসবে। তখন সংকট কেটে যাবে।

গত ছয় মাসে পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে কুকুর ও বিড়ালে কামড়ানো অন্তত ৮ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যাহত না থাকলে সামনে সাধারণ রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন