ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news

আবু সাঈদ হত্যায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার

আবু সাঈদ হত্যায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদ হত্যা মামলায় আগামী রোববার (২৯ জুন) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে প্রসিকিউশন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলাটির অভিযোগ দাখিল করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মিজানুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রতিবেদন পেয়েছি। এ প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আমরা আগামী রোববার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করব।

এর আগে আবু সাইদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে আসে।

এর আগে শুনানিতে প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও অনেকে সহায়তা ও উসকানি দিয়েছেন। ওই চার আসামি অন্য মামলায় আগে থেকেই গ্রেপ্তার ছিলেন।

গত ৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল এই চার আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দেন এবং ১৫ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন।

সেদিন আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যান। তাকে গুলি করার ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেদিন থেকেই সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর একের পর এক মৃত্যু, সংঘর্ষ ও আগুনের মধ্যে ১৯ জুলাই কারফিউ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি শেখ হাসিনা সরকার। তুমুল গণ-আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট পতন হয় টানা সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার। পতনের পরপর শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।

সরকার পতনের আন্দোলনে সরকারি হিসাবে সাড়ে আটশর মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় পতিত সরকারের নেতৃত্বে থাকা সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তা এবং মাঠ পর্যায়ে যাদের বিরুদ্ধে গুলি করার অভিযোগ আছে, তাদের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যে ট্রাইব্যুনালটি মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারই গঠন করেছিল।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন