ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার ২৫: ফখরুল

জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার ২৫: ফখরুল
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়ার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ২৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ৩০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো এলাকা জুড়ে পুলিশের অবস্থান, মোড়ে মোড়ে তল্লাশির কারণে কর্মীরা ভিড়তে পারেনি। তারা বলেছেন, আমরা ৫০ জন ঢুকতে পারব। শেষে ৫০ জনও ঢুকতে দেয়নি।’

ফখরুল বলেন, ‘আজকেও এখানে আসার সময় আমি শুনেছি ২৫ জনের মতো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে।’

‘গত পরশু এবং আজকের গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

মহাসচিব বলেন, ‘একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছাসেবকদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু এত বছর পরে এসেও তারা মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সাংবাদিকরা নির্ভয়ে লিখতে পারবে, একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠিত হবে, গণতান্ত্রিক চিন্তাধারায় দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। বাংলাদেশ এখন একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের যাঁতাকলে পড়েছে।’

চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রবেশ করার মুহূর্তে বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীকে আটকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ পুলিশ কমিশনার রুবাইয়াত জামান বলেন, ‘সকালে ৮টা বা তারও আগে যদি কেউ এখানে এসে দাবি করে সে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসেছে, সেটা যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে। কারণ প্রোগ্রাম তো ১১টার পর। সকালে তারা কী করছেন? তাই তাদের কয়েকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছি। এটাকে আটক বা গ্রেপ্তার বলা যাবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদল আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।

গত পরশুদিন চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, এই সরকার এত ভীত-সন্ত্রস্ত যে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার কারণে তারা সবকিছুতে বাধা দিচ্ছে, শুধু বাধা নয় দমনমূলক আচরণও করছে।

‘তারা বলেন, করোনা আমলে অনুমতি দেন না। করোনা আমলে আপনারা পরিবহন খুলে দিয়েছেন, হাটবাজার দোকানপাট খুলে দিয়েছে, শপিংমল খুলে দিয়েছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। উদ্দেশ্য একটাই করোনা কাল বলেন আর লকডাউন বলেন, এইভাবে নির্যাতন করে, নিপীড়ন করে তাদেরকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।’

‘মুল উদ্দেশ্য একটাই, তারা একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সম্পূর্ণ একটি ফ্যাসিস্ট কায়দায়। বাকশাল যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সেভাবে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধীদল যেন আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেন সরকার পতনের আন্দোলন করতে না পারে তার জন্যই এই দমনমূলক আচরণ করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ বুধবার টিকা নেয়ার পর এখনও পর্যন্ত খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।

টিকা নিয়ে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ফখরুল এড়িয়ে যান।


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন