শিল্পার স্বামীর মতোই ঢাকায় পর্নোগ্রাফির মূলহোতা ছিলেন রাজ


পর্নোগ্রাফি তৈরি করে অ্যাপের মাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগে গত ১৯ জুলাই রাতে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শিল্পার স্বামীর মতো ঢাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পর্নো ভিডিও তৈরি করতেন প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজও (নজরুল রাজ)।
র্যাবের অভিযানের সময় রাজের বাসা থেকে মাদকসহ বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। একাধিক নারী-পুরুষ একসাথে সমন্বিত যৌনাচারে ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি সজ্জিত রাজ মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন হাউজের কক্ষ এবং বিশেষ বিছানা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কক্ষটিতে পর্নোগ্রাফি তৈরি করা হতো।
উঠতি সুন্দরী মডেলদের নানা টোপ দিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহার করতেন রাজ। রাতারাতি দামি গাড়ি ও গহনাসহ বিলাসবহুল জিনিসপত্র উপহার পাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রভাবশালীদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাব দিতেন।
শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে নজরুল রাজকে মিলিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজ কুন্দ্রা পর্নোগ্রাফির অভিযোগে মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। ঠিক তার কয়েকদিন পরই গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের নজরুল ইসলাম রাজকে। দুজনের নামেই রয়েছে রাজ শব্দটি। দুজনেই অবৈধ পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। দুজনেই পর্নোগ্রাফি তৈরির রাজা। দুজনেই প্রায় কাছাকাছি সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিজাত এলাকাকেন্দ্রিক এসব চক্রের মূল হোতা রাজ। তার মোবাইলে অনেক পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কিছু উপকরণও তার বাসা থেকে জব্দ করা হয়। এছাড়া রাজের ছায়াতলে থাকা অন্যদের ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে পর্নোগ্রাফির জগতে প্রবেশ করলেন, কাদের নিয়ে তৈরি করতেন, দেশে-বিদেশে কোন হোটেলে থাকতেন, কোন কোন মডেলকে কীভাবে ব্যবহার করা হতো তার সবই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন রাজ। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে তিনি পর্নো ভিডিও তৈরি করছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এইচেকআর
