বিচারের আশায় মাথা ও তিন পা কাটা গরু নিয়ে থানায়
মাথা ও তিন পা কাটা একটি মৃত গরু নিয়ে বরগুনা সদর থানায় বিচার চাইতে এসেছেন এক অসহায় নারী। রাতের আধাঁরে গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে পা ও মাথা কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের কুমিরমারা থেকে গরুটি উদ্ধার করে বরগুনা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
গরুটির মালিক বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের কুমিরমারা এলাকার হজরত আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া। তার অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে দ্বন্দের জেরে ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
শাহজাহান জানান, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামী করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, নলটোনা ইউনিয়নের কুমিরমারা এলাকার শুক্কুর আলী, আমীর আলী, ইয়াকুব, রাসেল, ফয়সাল ও খোকন মিয়া।
তিনি আরও জানান, তিনি মোট নয়টি গাই গরু ও একটি ষাড় লালন পালন করেন। রবিবার তিনি গরুগুলো গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে বরগুনার পাথরঘাটায় ছেলের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাতে (রবিবার) গোয়াল ঘর থেকে ষাড়টি নদীর পাড়ে নিয়ে পেছনের দুটি ও সামনের একটি পা ও মাথা কেটে নিয়ে ফেলে রাখা হয়। সোমবার বিকেলে স্থানীয়রা গরুটি এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে খবর দেন।
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রার্থী শহীদুল ইসলামের (শহীদ মেম্বর) লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
শাহজাহানের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, কোরবানীতে গরুটি এক লাখ ২০ হাজার টাকা দাম উঠেছিল। কিন্ত গাই গরুর প্রজননের জন্য ষাড়টি বিক্রি করেননি।
লাইলী বলেন, শহীদ মেম্বারের সমর্থন না করায় নির্বাচনের পর থেকেই ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শহীদের সমর্থক শুক্কুর, আমীর আলী, একুব আলী, রাসেলসহ অন্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে লাইলীর ধারণা।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য তালুকদার মাসউদ বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে শাহজাহান আমার কর্মী হিসাবে কাজ করেছে। প্রতিদ্বন্দি ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম পরাজিত হওয়ার পর আমার কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। ২৩ জুন আমার উপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করেছিল প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থী শহীদ। এরই ধারাবাহিকতায় আমার কর্মীর গরু চুরি করে পা মাথা কেটে হত্যা করেছে শহীদ।
বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, গরুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গরুর মালিক শাহজাহান মিয়া সাতজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এমইউআর
