ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

নেছারাবাদে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা, চরম জনদুর্ভোগ

 নেছারাবাদে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা, চরম জনদুর্ভোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুর নেছারাবাদের  স্বরূপকাঠী উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে পশ্চিম কুড়িয়ানা গ্রাম। প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষের বসবাস এ গ্রামের কাটাপুল হতে রায়বাড়ির একমাত্র  ভরসা একটি মাটির রাস্তা। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। সে রাস্তাটিও বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। রাস্তাটি পাকাকরণ সম্ভব না হলেও অন্তত ইট সলিং করণের দাবী এলাকাবাসির দীর্ঘ ৩০ বছরের।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুড়িয়ানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি বড় মন্দির রয়েছে । মাটির রাস্তাটি দিয়ে  প্রতিনিয়ত চলাচল করছে  শতাধিক স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী খায়েরকাঠি ও সংগীতকাঠি দুই গ্রামের মানুষ। সব মিলিয়ে ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এ মাটির রাস্তাটি। প্রতিদিন সবাই ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে যোগাযোগ রক্ষা করছে হাটবাজার ও উপজেলা সদরে। বর্ষার সময়ে  রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে  চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকাবাসির । 

দিনমজুর বিধান চন্দ্র রায় বলেন, ৪০ বছর ধরে রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায় আছে। কুড়িয়ানা কাটাপুল হয়ে উত্তর দিকে খালের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আমাদের গ্রাম। গ্রামটি ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রাম থেকে অনেক নিচু। তাই শ্রাবন ভাদ্র মাসে বন্যা ও জোয়ারের পানিতে গ্রামের রাস্তাটি থাকে এলাকার মানুষের কোমর সমান পানির নিচে । তখন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।  ওই সময়ে একমাত্র নৌকাই হয়ে ওঠে চলাচলের বাহন। গ্রামে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মন্দির। গ্রামের এ রাস্তাটি বয়ে গেছে খালের পাশ দিয়ে। রাস্তাটি মেরামতের অভাবে প্রতিবছর বন্যা আর জোয়ারে পানিতে ভেঙ্গে বিলিন হচ্ছে খালের মধ্যে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারকে বার বার জানানো হলেও তার টনক নড়েনি।

রায়বাড়ি এলাকার বিশ্বজিৎ রায়  বলেন, আমাদের এলাকার নাগরিক সেবা যেন সোনার হরিণ। রাস্তাটির বেহাল দশায় বৃষ্টি কাঁদায় ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও রাস্তাটির মধ্যে দুইটি জায়গায় দুটি স্লিপার পুল রয়েছে। যে পুল দুটিও ভাঙ্গা অবস্থায় আছে দীর্ঘ বছর ধরে। দিনের বেলায় বেহাল রাস্তার ওই ভাঙ্গা পুল দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর রাতের বেলায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারেই অসম্ভব।

স্বপন কুমার দেউরী জানান, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নিম্নআয়ের। যে কারণে বিগত চেয়ারম্যান এখানে কোন নজরই দেননি। এ কারণে গ্রামটি খুবই অবহেলিত। রাস্তাটি ৩০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের গ্রামসহ আরো দুই গ্রামের মানুষের চলাচল রয়েছে। গ্রামের কেউ মূমুর্ষ হয়ে পড়লে ভাঙ্গাচোড়া রাস্তার কারণে নৌকা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হয়। রোগীদের নৌকা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ায় সময়ের অভাবে অনেক সময় কারো কারো জীবনের আশংকা হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবী রাস্তাটির ভাঙ্গনরোধে পাইলিং করে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হোক।

ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার জানান, একবার ওই রাস্তায় মাটির কাজ করা হয়েছিল। চাহিদার তুলনায় আমার ইউনিয়নে বরাদ্দ খুবই কম। তারপরও এবার চেয়েছিলাম ওই এলাকায় এক কিলোমিটার একটি ইট সলিং রাস্তা করবো। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগও করেছি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন