মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন


নাগরিক টিভির পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ও মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বাবু খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
এতে মঠবাড়িয়ার সকল সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি সুধী সমাজের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। মামলার ৪ দিনেও কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলেটের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, সাধারণ সম্পাদক রোজনুজ্জামান শরীফ, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি নাজমুল আহসান কবির, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি জামাল এইচ আকন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আমীন সোহেল, সাংবাদিক সমিতি সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সাকিল আহম্মেদসহ আরো অনেকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মঠবাড়িয়া ডাকবাংলা সড়ক দিয়ে শাহাদাৎ হোসেন তার বাসায় ফেরার পথে পূর্র্বে ওঁৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবুর ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাবুর বাম হাতের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী শাহাদাৎ মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ হাওলাদারের ছেলে সমবায় ব্যাংক কোয়ার্টারের বাসিন্দা শাহদাৎ হোসেন তুহিন ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ ফারুকের ছেলে পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ জিয়া। এরা সাবেক সাংসদ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর নিকট আত্মীয়।
বিশুদ্ধ পানি সরবারহের জন্য পানির ট্যাঙ্ক ব্যবৎ তুহিন ও জিয়া বিভিন্ন জনের নিকট থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা শাহাদাৎ হোসেন বাবু ফেরৎ দেয়ার তাগিদা দিলে এ বিরোধ সৃষ্টি হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নিজেই মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এইচকেআর
