দুমকিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩
দুমকি উপজেলায় সরকারী ইজারা খালে মাছ ধরার জেরে পুলিশের সামনে মানসুরা বেগম (৭০) ও তার দুই ছেলে জালাল সিকদার (৩৫), কামাল সিকদার (৪০)কে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা।
স্বজনরা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের চরবয়েড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চরবয়েড়া গ্রামের বয়ড়ার খালের সুইজ গেটে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সিকদারের ছেলে বাদল সিকদার ও মজিদ সিকদারের ছেলে রাসেল সিকদারের সাথে প্রতিপক্ষ মৃত ভুলু সিকদারের ছেলে জালাল ও কামাল সিকদারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলসিকদার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলা সহিংসতার অভিযোগ এনে পুলিশকে ফোন করে।
দুমকি থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার ও ২জন পুলিশ কনস্টবল ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথেই বাদল সিকদার, রাসেল সিকদারসহ অন্তত৭/৮জনের একটি বাহিনী লাঠি-সোটা নিয়ে মানসুরা বেগমকে ও তার দুই ছেলে জালাল সিকদার, কামাল সিকদারকে মারধর ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পুলিশের সামনে থেকেই পালিয়ে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাকের আলী (বাবুল) হাওলাদার জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ইউপি সদস্য বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথেই প্রতিপক্ষের উপর মারপিট শুরু করে রাসেল বাদল গংরা। এসময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষের এক ছেলেকে কয়েকটা চড় থাপ্পর মেরেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত রাসেল বলেন, প্রতিপক্ষরা মাকে তুলে অশ্লীল গালাগাল করায় রাগের বশে ঘটনাটি ঘটেছে।
দুমকি থানার এসআই দেলোয়ার হামলাকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই মারামারি হচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে বাঁশি বাজিয়ে গণধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক হান্নান বলেন, লোকমুখে শুনেছি, তবে এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
