পিরোজপুরে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো


পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৩ নম্বর দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের তিন গ্রামের ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতে একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। ২৩ নং উত্তর ডুমরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিলডুমরিয়া আবাসন প্রকল্প সংলগ্ন খালের ওপর এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এ সাঁকো দিয়ে পার হতে হয় সবাইকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দেউলবাড়ী, সোনাপুর, বিলডুমরিয়া গ্রামের মানুষকে এ সাঁকো হয়ে প্রতিদিন নানা কাজে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের গাঁওখালী বাজারে যেতে হয়।
বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় আবাসন প্রকল্পে থাকা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২০ ফিট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটি তৈরি করা হয়।
দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুল আলম বাবুল জানান, এখানে দ্রুত পুল বা ব্রিজ তৈরি করা প্রয়োজন। আমি নিজ ফান্ড থেকে সাকোঁ তৈরির সরঞ্জাম কিনে দিয়েছি।
সেটা দিয়ে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করে। তবে বিভিন্ন মহলের কাছে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি একটা পুলের জন্য। সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী বিলডুমরিয়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা মো. শাহজাহান নানা দুর্ভোগের কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের এই বাঁশের সাঁকো দিয়া রাইতের বেলা টর্চ দিয়া পা টিপি টিপি করে চলা লাগে।
তা ছাড়া স্কুলে যাওয়ার সময় সন্তানদের খালে পড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন অভিভাবকরা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন খাঁন বলেন, সাঁকোটি তৈরি করা খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুততর সময়ে পুল নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাঁকোর স্থানে পুল নির্মাণের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
এইচকেআর
