ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর অভিভাবককে হয়রানির অভিযোগ 

শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর অভিভাবককে হয়রানির অভিযোগ 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল শের ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফোসিয়াল সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লিটন ভূষণ হাওলাদারের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়ার রোগীর অভিভাবককে হয়রানি ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযাগ উঠেছে। 

মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হাওলাদার গতকাল বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, তার বড় ভায়রা পাশর্^বর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহমাদুল হাসান গত শুক্রবার সন্ধ্যার পরে কোচিং শেষে সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। 

এসময় অজ্ঞাত মোটর সাইকেল চালক সাদ্দাম তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাহমাদুল হাসানের ডান হাত ভেঙে যায়, নাক ফেটে ও মুখের নিচের চোয়াল এবং দাঁত ভেঙে যায়। 

ভায়রা স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহত মাহমাদুল হাসানকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন। 

সংবাদ শুনে গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে দেখি অর্থোপেডিক ডাক্তার হাতের ব্যান্ডেজ দিয়ে ডেন্টাল বিভাগে প্রেরণ করেন। ডেন্টাল বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. লিটন ভূষণ হাওলাদারের কাছে যাই এবং কথা বলার চেষ্টা করি।কিন্তু তিনি কথা না বলে চলে যেতে চায়। তবে পরের দিন দেখবেন বলে চলে যান। পরের দিন সোমবার আবারও ওই ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলে তিনি তর্কে জড়িয়ে পরে। বিকেলে আমি বাড়িতে চলে আসলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ভায়রা শাহজাহান হাওলাদারেক বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে তার পছন্দের একটি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন। 

ইতোমধ্যে মাহমাদুল হাসানকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। 

এসময় ডাক্তার বলেন, সরকারী হাসপাতালে অপারেশন করার পর্যাপ্ত যন্ত্র নাই। তার সেই পছন্দের ক্লিনিকে ৬০ হাজার টাকায় অপারেশন করাতে হবে। অন্যথায় রোগীকে ঢাকা নিতে হবে।

আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হাওলাদার আরও বলেন, তার ভায়রার ছেলে মাহমাদুল হাসানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

ডেন্টাল বিভাগের ডাক্তারের বাড়ি মঠবাড়িয়াতে হওয়ার সুবাদে ওই প্রতিপক্ষরা ডাক্তার লিটন ভূষণ হাওলাদারকে ঘুষ দিয়েছেন। 

যে কারনে ডাক্তার আমাদের সাথে অসাদাচারণ করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে শের ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফোসিয়াল সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লিটন ভূষণ হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়ম অনুয়ায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছি।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন