মঠবাড়িয়ায় ৪ সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ৪ সন্তানের জননী বকুল বেগম (৫৫) নামে এক নারীর লাশ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোঃ বাদল খানকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। বাদল খান উপজেলার উত্তর ভেচকী গ্রামের মৃত রুস্তুম খানের ছেলে।
নিহতের স্বামী মোঃ বাদল খান ও তার ছেলে বেল্লাল এবং পরিবারের সদস্যরা বলেন, বকুল বেগমের দীর্ঘদিনের জ্বিন-ভুতের আচর রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে বকুল বেগমকে খুজতে-খুজতে ঘরের পাশে ধান ক্ষেতে মৃত. অবস্থায় দেখে ঘরে নিয়ে আসেন।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে অবহিত করি। শুক্রবার রাত ৯ টার ঘটনা পরের দিন শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জনসন্মূখে এলো, এ দীর্ঘ সময় কি করেছেন? এবং ধান ক্ষেতে কোন চিহ্ন নেই কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তারা কেউ দিতে পারেনি। তারা দাবী করছেন ভূতে মেরেছে।
নিহত বকুল বেগমের ভাই পাশ্ববর্তী বামনা উপজেলার গোলাঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. সুলতান হাওলাদার, বোনের ছেলে অলমগীর হোসেন, ও ভাতিজা মো. রুস্তুম মিয়া বলেন, বকুল বেগমের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হতো, তাহলে রাতেই আমাদের জানায়নি কেন? শনিরার সকাল ৯ টায় আমাদের জানানো হয় সকাল ১০ টায় তাঁর জানাযা। আমরা ছুটে এসে দেখি সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন।
বকুল বেগমের বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা এনে দেয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে দফায়-দফায় মারপিট করতো তার স্বামী। মার-ধরের ভয়ে আমাদের বাড়িতে সম্প্রতি পালাতে গিয়েছিলো। গত দুই দিন আগে তার স্বামী মো. বাদল খান মৌখিক মুসলেকা দিয়েছে আর কখনোই মারবে না বলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দুই দিনের মাথার ঘরের পিছনের বারান্দার পরিকল্পিক ভাবে হত্যা করে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে। এখন পিতাকে রক্ষা করতে তার সন্তানরাও মিথ্যা নাটক করছে। আমরা তদন্ত পূর্বক এ হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে লাশের মুখমন্ডল ও শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন চিহ্ন দেখা গেছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুক সঠিক কারন জানা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী বাদল খান আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি করছে পুলিশ।
এইচকেআর
