মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে ইরি আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মৌসুমী সব্জিক্ষেত এবং ফলজ,বনজ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।
বিকেল ৪ টা নাগাত এর তীর্ব্রতা কমতে শুরু হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই বেড়েছে বৃষ্টির তীব্রতা। বলেশ্বের নদী, খাল, পুকুর, জলাশয়, ধান ক্ষেতে পানি বৃদ্ধি পায়। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষজনকে তেমন একটা রাস্তায় দেখা যায়নি। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে হাট-বাজারে দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে।
প্রবল ঝড়ো বাতাসে ধানসহ এবং সদ্য ধানের শিষ বের হওয়া আমন ধানের গাছ পানিতে নুয়ে পড়েছে। বর্তমানে পাকা ইরি ধান কাঁটা নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে কৃষক। আমন ধানের গাছ শুয়ে পরায় ধানে খোষা হবাব আশংঙ্কা করেছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের।
উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের মো. আলামীন নাজির বলেন, তার আমন ধানের ক্ষেত মাটিতে শুয়ে পরেছে, মৌসুমী সব্জি ক্ষেত অনেকটা নস্ট হয়ে গেছে। তার মতো পাতাকাটা গ্রামের সকল কৃষকের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। জরিপের চর গ্রামের কৃষক মো. মোতালেব হোসেন বলেন, তার এলাকায় ইরি ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বর্তমানে পাকা ইরি ধান ঘরে তুলতে প্রচুর কষ্ট হবে। ধানীসাফা গ্রামের মোঃ শাওন তালুকদার বলে গাছের ডাল তাদের ঘরে পরে ঘরটি ভেঙে গিয়েছে। সংবাদ কর্মি অহেদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান হানিফ বলেন বন্যায় হাছের ডাল পরে তাদের বাড়ির পাঞ্জেখানা মসজিদটি সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর তান্ডবে কৃষকদের ব্যপক ক্ষতি হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষটি উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার বলেন, প্রশাসনে পক্ষথেকে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতির পরিমান তালিকা তৈরী করা হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এইচকেআর
