ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

মঠবাড়িয়ায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে সয়লাব

মঠবাড়িয়ায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে সয়লাব
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার অধিকাংশ ফার্মেসিতেই ভেজাল, মানহীন, অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে সয়লাব। এসব ওষুধ খেয়ে উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে মানুষ। শহরের চেয়ে গ্রমাঞ্চলের দোকান গুলোতে (ফামের্সি) এ সকল ওষুধ বেশী বিক্রি হয়।

সচেতন মহল মনে করেন, একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল, মানহীন ওষুধ তৈরী করে ওষুধ বিক্রেতাদের বেশী লাভ দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দোকান গুলোতে এ সকল ওষুধ বেশী বিক্রি হয়। ওষুধের মোড়ক দেখে আসল-নকল সহজে বোঝার কোন উপায় থাকে না। বেশির ক্ষেত্রে লোকজন ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) করাতে চায় না। এ সুযোগটাই লুফে নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার গুদিঘাটা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী রাজু জানান, নামী-দামী কোম্পানির ওষুধের আদলে বহু ভূইফোঁড় কোম্পানি ওষুধ তৈরী করে। গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ীরা এ ব্যবধান না বুঝে ওষুধ রেখে বিক্রি করেন।

বড় মাছুয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান একটি নামী-দামী কোম্পানীর ওষুধ দেখিয়ে বলেন, এটা আগে বিক্রি করতাম ১৫ টাকায় বর্তমানে এটা ৩৫ টাকা। আগে ১ ফাইল ওষুধ খেলে কাজ হতো, এখন ৩ ফাইলেও কোন কাজ হয় না। এছাড়া ভূইফোঁড় কোম্পানির ওষুধ প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটা গোড়া থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নিবে কে ?
পশ্চিম শাখালী কাঠি গ্রামের দিন মজুর আনোয়ার হোসেন বলেন, তার ছেলের জ¦র হয়েছে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাইয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। হয়তো ছেলেকে বরিশাল নিতে হবে। একই কথা বললেন উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের খাদিজা বেগম।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, আমারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। 

গত শনিবার বিকেলে উপজেলার মিরুখালী বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ, অবৈধ এবং নিষিদ্ধ ওষুধ রাখা ও বিক্রির অভিযোগে শরীফ মেডিকেল হল মালিককে ১৩ ও শরীফ মেডিকেল হল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন