ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news
বিশেষ টোকেন ব্যবস্থায় চাল বিতরণ

মঠবাড়িয়ায় জেলেদের ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

মঠবাড়িয়ায় জেলেদের ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের মা ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুমে চাল বিতরণের প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে এবং ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

প্রত্যেক কার্ডধারী জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ থাকলেও ২-৩ কেজি চাল কম এবং প্রকৃত দরিদ্র জেলে কার্ডধারীদের না দিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে চাল দেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

গত দুই দিন চাল বিতরণের সময় বড় মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদারের  বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠে। বড় মাছুয়া গ্রামের ইয়াহিয়া, রহিম হাওলাদারসহ একাধিক জেলে ২৫ কেজি ওজনের খোলা চালের বস্তা দোকানে নিয়ে ওজন দিয়ে ২১ থেকে ২২ কেজি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চেয়ারম্যানের বিশেষ টোকেন দেখে  মনে হচ্ছে তিনি তার নিজের টাকায় কিনে চালগুলো দিচ্ছেন। কার্ডধারী জেলেদের চাল না দিয়ে চেয়াম্যানের নিজ ছবি সম্বলিত বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে স্বচ্ছলদের মাঝে ভিজিএফের চাল প্রদান করা হয়। সচ্ছল ব্যক্তিরা সেই চাল বিক্রি করে দেয়। তারা আরও জানান, এতো অভিযোগ তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গত রোববার ও সোমবার  স্থানীয় বড়মাছুয়া ইউনিয়েনের ৮ শ’৭৫ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। অথচ গত মৎস্য সংরক্ষন মৌসুমের চাল বিতরণ না করে গুদামে রেখে নস্ট হওয়া দুই কিস্তির চাল এক সাথে দেয়া হচ্ছে। 

ইউপি চেয়ারারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরি ও কার্ড বঞ্চিত হতদরিদ্র দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য কিছু চাল কম দিতে হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন এ ভাবে গত সাত বছর এমন বিশেষ টোকেন মাধ্যমে তিনি চাল বিতরণ করে আসছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইযূম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সোমবার থেকে ঐ ইউনিয়নে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ওজনে কম দেয়ার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন