মঠবাড়িয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে জখেমর ৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করে বিপাকে পড়েছে ৩ সন্তানের জননী জাহানুর (৫০) বেগম। মামলা দায়েরের পর স্বামী আ. হামিদ (৫৭) শালিশ ব্যবস্থার কথা বলে বাড়িতে ডেকে স্ত্রী জাহানুর বেগমকে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করেছে।
গত ৫ দিন ধরে গুরুতর জাহানুর বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত জাহানুর বেগম স্বামী হামিদ ও দু’ দেবরকে আসামি করে গত বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও গত ৪ দিনেও থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি।
আহত সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার কাঞ্চন আলী হাওলাদারের ছেলে আ. হামিদ তার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী জাহানুর বেগমকে যৌতুকসহ পারিবারিক বিভিন্ন তুচ্ছ বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন ধরে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল।
এতে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূ জাহানুর স্বামীকে আসামি করে গত ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞ মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর ওই দিন দুপুরে জাহানুর আদালত হতে বের হবার পর ওৎ পেতে থাকা আ. হামিদ মিমাংসার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটির একপর্যায় হামিদ ও তার দু ভাই ইসমাইল ও মালেক মিলে জাহানুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম হয়। এসময় মাকে রক্ষা করতে এলে পিতা ও চাচার হামলায় অনার্স পড়ুয়া মেয়ে মিম আক্তার (২০) আহত হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় জড়িত হামিদ ও তার ভাইয়েরা গা ডাকা দেয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। যে কারনে মামলা করতে বিলম্ব হয়।
এইচকেআর
