মঠবাড়িয়ায় কাজ না করে ইউপি সদস্য ও সচিবের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১০ নম্বর হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মোশরফ প্যাদা বাড়ির সামনের ২’শ ফুট রাস্তার কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও সচিবের বিরুদ্ধে। এতে সরকারের উন্নয়নকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গেলে গ্রামবাসী জানান, মোশরফ প্যাদা বাড়ির সামনে থেকে স্থানীয় একটি হেফজখানা অভিমূখে ইটসলিং রাস্তাটি ২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। এর পর আর কোন কাজ করা হয়নি। রাস্তার ইটে শেওলা ধরে গেছে। এখান থেকে যদি সামনের দিকে নতুন ২’শ ফুট রাস্তা হতো তাহলে ১৫ টি পরিবারের উপকার হতো।
নাম প্রকাশ না শর্তে হলতা গুলিষাখালী ইউনিয়নের দু’জন ইউপি সদস্য বলেন, গত ২বছর আগে সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর কাবিখা ও কাবিটা পৃথক দুটি বরাদ্ধে ৫‘শ ফুট রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়। সেই একই রাস্তার কাজ বর্তমানে “গ্রামীন উন্নয়ন অবকাঠামো” এর আওতায় ২’শ ফুট নতুন কাজ দেখিয়ে ১ লাখ টাকা উঠিয়ে ইউপি সদস্য ও ইউপি সচিব ভাগ বাটোয়ারে করে নেয়। এমনকি বিল প্রস্তুত করার সময় সচিবকে বাঁধা দেয়াসহ চেয়ারম্যানের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রজেক্ট করে ঠিকাদারের নামে বিল করেছেন। কাগজ দেখে জামানত রেখে আমি বিল দিয়েছি। সরেজমিনে কাজ দেখা আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে না।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সগীর প্যাদা বলেন, দুই বছর আগের পুরাতন বিল নিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো বলেন, অফিসের তথ্য অনুযায়ী এমপি সাহেব বরাদ্দের দেয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দ দেননি। কিন্তু কাজ করানো হয়েছে, সে বিলটাই দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
