ভোলার ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা বহিষ্কার


জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান ও তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেলের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেল।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পিকুরুল ইসলাম বাহার, হাসান নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তন্ময় হাসান রিয়াদ মীর, দৌলতখান উপজেলার আবু আব্দুল্লাহ্ কলেজ শাখা সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু জিহান তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা সভাপতি খান মোহাম্মদ ইব্রাহীম, এবং ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজ আফসান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় পাঁচজনকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশও করা হয়েছে।তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে পাঁচজন ছাত্রলীগ নেতাকে একসঙ্গে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, সাঈদীর মৃত্যুর সংবাদে ছাত্রলীগের এসব নেতা তাদের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহ আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন; কেউ কেউ লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদী হুজুর আমাদের মাঝে আর নাই, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হুজুরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমীন। এর পরই এই নেতাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
হাসান নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি রিয়াদ মীর বলেন, সাঈদী মারা যাওয়ার পর আমার এলাকা সহ বিভিন্ন মহলে ‘সাঈদীকে মেরে ফেলা হয়েছে’ বলে একটু কুচক্রী মহল গুজব ছড়ানোর কারণে আমি আমার ফেসবুক আইডিতে ‘হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদী’ নামক যমুনা টিভির শিরোনাম সংবলিত একটি ছবি ও ইন্না-লিল্লাহ লিখে পোস্ট করি।
পোস্টটিকে সুযোগ মনে করে হাসান নগরে ভবিষ্যৎ পদপ্রত্যাশী একটি গ্রুপ জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের কানভারী করে। এ অপরাধে যদি আমরা (ছাত্রলীগ) বহিষ্কার হই তাহলে বোরহানউদ্দিনের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও আ’লীগেরও অনেক নেতাকর্মীগণ বহিষ্কার হওয়ার কথা ছিল। কারণ তারাও এমন পোস্ট করেছে। কিন্তু প্রভাব পড়েছে একক ছাত্রলীগের উপর। এ বিষয়ে বাকি বহিষ্কৃত সদস্যদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ বলেন, তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এবং সংগঠনের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় পাঁচজনকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এইচকেআর
