মঠবাড়িয়ায় রাস্তা ভেঙ্গে ১০ গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানির স্রোতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সড়ক ও জনপদ এর (স ও জ) ধানিসাফা-মিরুখালী-আমুয়া সড়ক ২ স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ গ্রামের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও সড়কের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি উপচে পড়ে ৪/৫ স্থানে দেবে গেছে।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে এলকাবাসীর পাশাপাশি ক্ষুব্দ গাড়ী চালকরাও। এছাড়াও উপজেলার ঝাউতলা-ভগিরথপুর, দাউদখালী, বেতমোর, বড়মাছুয়া, ধানীসাফা ও তুষখালী এলাকার বিভিন্ন সড়কের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমী সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার মিরুখালী বাজার ও বাদুরা বাজারের মধ্যে সওজের ২ কিলোমিটার রাস্তায় ২ স্থানে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেছেন। গ্রাম সমূহ হলো- মঠবাড়িয়ার (পিরোজপুর) উত্তর মিরুখালী, ওয়াহেদাবাদ, মিরুখালী, ছোট হারজী, হারজী নলবুনিয়া, দেবত্র, দাউদখালী, ঘটিচড়া ও গিলাবাদ এবং বামনা উপজেলার (বরগুনা) বুকাবুনিয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ণিমার জোয়ারের সাথে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় জোয়ারের পানি খাল উপচে প্রবল গতিতে রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ২ স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অপর দিকে ক্ষেত বা বাড়ির আঙিনার মৌসূমী সব্জি ক্ষেত ও পানের বরজের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার মিরুখালী গ্রামের অটোচালক রুবেল হোসেন জানান, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চালতে পারছি না। কবে নাগাদ মেরামত করা হবে সেটা অজানা। উপার্জন না হলে বর্তমান দ্রব্যমূল্যর বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে কঠিন বিপদের মধ্যে পরতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে কিস্তির পালা।
উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা বেগ জানান, বাজারে সব্জির দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন প্রজাতির মৌসুমী সবজি রোপন করেছি। ভারী বর্ষণে সকল গাছ পানিতে ডুবে লাল হয়ে গেছে। গাছগুলো বাঁচবে কিনা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যপারে সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পিরোজপুর) রাজিউল আলম রাজু জানান, সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার খবর জানা নেই। খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
