ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ ইসিতে

ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ ইসিতে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টি- জেপি মনোনীত বাই-সাইকেল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাহিবুল হোসেন মাহিম। 

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে অভিযোগ দিয়ে যান তিনি।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মাহিবুল হোসেন, ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন-২০২৩ এ জাতীয় পার্টি-জেপি মনোনীত বাই-সাইকেল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ছিলাম। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, যেখানে শতকরা ৮০ শতাংশ ভোট আমার পাওয়ার কথা, সেখানে আমার প্রতিবন্ধী নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ফাইজুর রশিদ ভোটারদের প্রকাশ্যে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে। 

পরে পৌরসভা নির্বাচনের আগের দিন রাতে ৫টি কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার লাইন কেটে ইভিএমে ভোট কারচুপি করেছে। যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অকপটে স্বীকার করেছেন। চ্যানেল২৪ এর ভিডিও ফুটেজ আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত করলাম।


অভিযোগে তিনি জানান, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশেপাশের জেলা এবং উপজেলা থেকে বহু সন্ত্রাসী এনে ভান্ডারিয়ায় একটি ভয়াবহ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার অবহিত করেও আমি কোনো প্রতিকার পাই নাই। 

পক্ষান্তরে আমার ভোটের মাঠ নেতাকর্মী শূন্য করতে নির্বাচনের ২দিন পূর্বে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অ্যারেস্ট করে আমার নির্বাচনকে ব্যাহত করা হয়। সিসি ক্যামেরার লাইন কাটা ৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই।

তাছাড়াও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ফাইজুর রশিদ নির্বাচনের দিন বাকি ৪টি কেন্দ্রে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৫ লঙ্ঘন পূর্বক কেন্দ্র দখল করে। তার পক্ষের দুষ্কৃতকারীরা ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর সন্ত্রাসী স্টাইলে ভোটারদের বাই-সাইকেলের ভোট ইভিএমের লাল বাটনে টিপ দিয়ে বাতিল করে। এছাড়া নৌকা প্রতীকে সবুজ বাটনে টিপ দিয়ে ভোট কারচুপির আশ্রয় নেয়।

আমার পোলিং এজেন্টগণ প্রতিবাদ করলেও অনৈতিক সুবিধা নেওয়া প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার তা আমলে নেয়নি। কাজেই ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন ২০২৩ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয় নাই। 

আমি এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করছি এবং পুনরায় ব্যালট পেপারে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুরোধ করছি। যেহেতু সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হয় নাই, সেহেতু তদন্ত সাপেক্ষে ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে আপনার সদয় কৃপা দৃষ্টি কামনা করছি।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন