সরকার কমালেও বাজারে কমেনি ভোজ্য তেলের দাম


সরকারিভাবে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো হলেও চারদিনেও বরিশালের কোথাও নতুন কম দামে তেল বিক্রি হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের বেশি দামে কেনা তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান ঘুরে জানা যায়, আগের দামে বিক্রি হচ্ছে তেল। যেসব তেল বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর মোড়কে আগের দামই রয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকায়। বাজারে নতুন দামের তেল আসেনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
রূপাতলী বাজারের মুদি দোকানি গাজী মিয়া বলেন, বাজারে এখনও বেশি দামে কেনা তেল মজুদ রয়েছে। বাড়তি দামে কেনা তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কেউ তো আর লস করে পণ্য বিক্রি করবে না।
আরেক ব্যবসায়ী সাগর বলেন, আমার দোকানের জন্য যে পাইকারের কাছ থেকে তেল কিনি, তার কাছে এখনও বাড়তি দামের তেল মজুদ। এ তেল বিক্রি হতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। সে হিসেবে সরকার নির্ধারিত নতুন দামে তেল বিক্রিতেও সময় লাগবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মাওলানা ভাসানি সড়কের স্বপন মিয়া বলেন, বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানে সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। এদের অজুহাতের শেষ নেই। একটা না একটা অজুহাত থাকেই। যখন কোনো কিছুর দাম বাড়ে; তখন থেকে বাড়তি দাম নেওয়া শুরু হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেন। তবে ঘোষণার পর পেরিয়ে গেছে আরও চারদিন। এখনো আগের দাম লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা দরে সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, ব্যবসায়িদের মাঝে এখনো প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। তবে আমাদের মনিটরিং অব্যহুত রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরজেএন
