খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর-নেছারাবাদ সড়কে ভোগান্তির শেষ নাই


পিরোজপুর জেলার সাথে নেছারাবাদের ৬ ইউনিয়নের যোগাযোগে ইন্দুরহাট চাঁদকাঠি সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলজিইডি নির্মিত ১৪ কিলোমিটার এই সড়কটির ইন্দুরহাট ও চাঁদকাঠি প্রান্তে ২ কিলোমিটার করে ৪ কিলোমিটার ২০২১ ও ২০২২ সালে সংস্কার কাজ করে বাকি ১০ কিলোমিটার সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কে চলাচল করলে ধুলাবালিতে শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগে ভুগতে হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় ভয় নিয়ে চলতে হয়। রাস্তাটির এমন অবস্থা যে অসুস্থ কোন মানুষ নিয়ে চলাচল করা যায় না। এ সড়কে চলাচল করা যানবাহন মালিকদের দাবী তাদের যানবাহন দুই দিন পর পর মেরামত করতে হয়। এছাড়া যা আয় হয় তার বৃহৎ অংশই মেরামত কাজে ব্যায় হয়। পরিবারের খরচ মেটাতেও পারছে না তারা।
এদিকে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট পর্যন্ত ৫কিলোমিটার সড়ক এলজিইডি না কি সওজের তা নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। এলজিইডি এ সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কার করলেও স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট থেকে শ্রীরামকাঠি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সওজ পিরোজপুরের সড়ক তালিকায় রয়েছে যা সম্প্রতি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও পেয়েছে। আবার স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট এলাকা ইন্দেরহাট থেকে চাঁদকাঠি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক নির্মাণের পর থেকে সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে এলজিইডি।
এবিষয়ে সওজ পিরোজপুরের এসডিই ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ফেরিঘাট থেকে কিছু অংশ এলজিইডির যা সরজমিনে না গিয়ে বোঝানো যাবেনা। মন্ত্রণালয় অনুমোদনের জন্য ১৫ কিলোমিটার দেখানোর কারণ তিনি এখন জানাতে পারবেন না বলেন।
তবে রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে নেছারাবাদ এলজিইডি প্রকৌশলী তৌফিক আজিজ জানায়, ইন্দুরহাট চাঁদকাঠি সড়কটি প্রসস্থ করণের জন্য ইতোমধ্যে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। ইন্দেরহাট ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট হয়ে চাঁদকাঠি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক। ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট পর্যন্ত সওজ এর নয়, এলজিইডি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করে।
আরজেএন
