পিরোজপুরে নেই ‘মোখা’র প্রভাব, ফাঁকা আশ্রয়কেন্দ্র


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপক‚ল অতিক্রম শুরু করলেও এর প্রভাব পড়ছে না পিরোজপুরে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও সেখানে যাচ্ছেন না স্থানীয়রা। রবিবার (১৪ মে) বিকাল পর্যন্ত জেলায় সারাদিনই দেখা গেছে মেঘ আর রৌদ্রের লুকোচুরি।
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সজাগ রয়েছে পিরোজপুরের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন এবং ঝূকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ‘মোখা’ মোকাবেলায় পিরোজপুরে ২১৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ৭টি উপজেলায় একটি করে ৭টি এবং জেলা সদরে একটি মোট ৮টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে জিআর ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব দেখা দিলে ঝুঁকিতে থাকা সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। সবাই সতর্ক থাকবেন যাতে কোনো অসুবিধা হওয়ার আগে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে পারেন। বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এছাড়াও দুর্যোগ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে জরুরী ভিত্তিতে সেবা দেওয়ার জন্য সিপিবির ১ হাজার ৭০০ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্ট এর ৩৫০ জন সদস্য প্রস্তত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করতে সজাগ রয়েছে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এইচকেআর
