মঠবাড়িয়ার মুন্নী হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোরী লামিয়া আক্তার মুন্নি (১৫) হত্যার ঘটনায় ৪৩ দিন পর ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলো- টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, নিহতের কথিত শ্বশুড় দাউদখালী ইউপির সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম, নিহতের মা শাহিদা বেগম, নিহতের কথিত স্বামী হাসান, চেয়ারম্যানের সহযোগি ফারুক প্যাদা ও সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের শ্বশুড় মোসলেম হাওলাদার ওরফে টাক মোসলেম।
নিহত মুন্নীর বাবা মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে বুধবার ( ৩ মে) মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারকি হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডভোকেট নিজাম উদ্দিন জাকির। এর আগে গত ২৩ মার্চ এ ঘটনায় নিহতের মা শাহিদা বেগম মেয়ে মুন্নির কথিত শ্বশুর সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম ও জামাত হাসানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শহীদুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ৫ বছর আগে মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে শাহিদা বেগমকে ডিভোর্স করায়। এদিকে শাহিদা বেগম সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয়ের পথ পরিস্কার রাখতে সাহিদা বেগমের কিশোরী মেয়ে লামিয়া আক্তার মুন্নিকে ওই শহীদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হাসানের সাথে কথিত বিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর ১৯ মার্চ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ও তার লোকজন শহীদুলকে আটক করে মারধর করে। চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শাহিদা বেগম ও সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামের ত্রিভুজ অবৈধ পরকিয়ার রশি টানাটানিতে কথিত বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় গত ২০ মার্চ গভীর রাতে শহীদুল ইসলামের বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হয় কিশোরী লামিয়া আক্তার মুন্নি।
অভিযুক্ত টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, আমাকে হয়রানি কারার জন্য বাদি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আসামি করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সাহিদা বেগমের দায়র করা মামলায় পলাতক আসামি নিহত মুন্নির কথিত শ্বশুর শহীদুল ইসলামকে অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছে।
এইচকেআর
