আমতলীতে মাদাসার সম্পত্তিত্বে শিক্ষকের ক্যানেল খনন


বরগুনার আমতলীতে ক্যানেল খননে ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে মাদ্রাসা ভবন। জানা গেছে উপজেলার টিয়াখালী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফিরোজ কর্তৃক মাদ্রাসা ভবনের পুর্বপাশে ভবন সলগ্ন মাদ্রাসার সম্পত্তিত্বে ক্যানল খননকরে তার বাড়ীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন। মাদ্রাসা ভবনটি ২০১২ সালে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়। সম্প্রতি মাদ্রাসা ভবনের পুর্ব পাশে শিক্ষক ফিরোজ মিয়ার বাড়ীর পশ্চিম পাশে ১২ ফুট গভীর করে ক্যানেল করেন।
এতে মাদ্রাসার দুটি ভবন যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। তাতে ক্ষতির সম্মুখিন হবে লাখ লাখ টাকার দুটি ভবন। মাদ্রাসা সলগ্ন ক্যানেল খনন করায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষক ফিরোজ মিয়া বাড়ীর উত্তর পাশে সরকারী খাল দখল করে পুকুরকেটেছেন যার কারনে সরকারী ঐ খালের পানি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উধর্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয় শিক্ষক ফিরোজ মিয়া ক্যানেল খনন করার কথা স্বিকার করে বলেন, মাদ্রাসা ভবনের ক্ষতি হবেনা। মাদ্রাসার সুপার মাও: মো. সোলাইমান শিক্ষক ফিরোজ মিয়া কর্তৃক ক্যানেল খননের কথা স্বিকার করে বলেন, বিষয়টি সভাপতিকে জানানো হেেয়ছে।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, ক্যানেল খননের কথা শুনে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে খনন কার্যক্রম বন্দ করে মাদ্রাসার সুপারকে নির্দেশ দিয়েছি যাহাতে কোন ভাবে ক্যানেল খনন করা না হয়।
কিন্তু পরের দিন পুনরায় ক্যানেল খনন করার কথা শুনে মাদ্রাসা সুপারকে জানালে তিনি আমাকে জানান ফিরোজ মাষ্টারেরা মাদ্রাসায় জমিজমা দিছে এখন একটু মাদ্রাসাঘেষে ক্যানেল খনন করলে আমি কি বলবো। আমার মনে হয় মাদ্রাসার সুপার ও শিক্ষক ফিরোজ এর যোগ সাজসে এ ক্যানেল খনন করা হয়েছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়া উল হক মিলন মুঠোফোনে বলেন বিষয়টি আমি অবগত নই । আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন সরেজমিন তদন্ত করেন আ্ইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
