ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

কলাপাড়ায় বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং ষ্টেশন না থাকায় জনজীবন বিপর্যয়

কলাপাড়ায় বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং ষ্টেশন না থাকায় জনজীবন বিপর্যয়
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কলাপাড়া ১৯৯৭ সালে পৌরসভা নির্মিত হলেও বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং ষ্টেশন না থাকায় বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে।এতে দিন দিন রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে। ময়লা আবর্জনার কারনে শহরের মশা, মাছি ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। এ ছাড়া ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে আগুন দিয়ে  পুড়ে ফেলার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আর যতটুকু  আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলছে সেই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছে শিশু- বৃদ্ধ শহরবাসী।  এতে ওই এলাকায় স্বাস্হ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, কলাপাড়া  পৌরসভার অর্থায়নে টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া টেন্ডারের গোজা ও টিয়াখালী ইউনিয়নের ২০ কানী নামক স্হানে সামান্য কিছু জমি পৌর কর্তৃপক্ষ ৫/৬ বছর আগে খরিদ করেছেন ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য কিন্তু পৌর পরিচছন্ন কর্মীরা রাতের বেলা দুরবর্তী এলাকার ডাস্টবিনে বর্জ্য না ফেলে শহরের আশপাশের খালী জায়গায় বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দুষন করছে। মাঝেমধ্যে ময়লা আবর্জনা  ও পলিথিনসহ প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ার ধোঁয়া ও গন্ধে দুর্বিসহ দিন কাটাচ্ছে এখানকার বসবাসরত নাগরিকরা।  

নাচনাপাড়া টেন্ডারের গোঁজা বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলে আমাদের বসবাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।ময়লা আবর্জনার পোড়ানোর ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু বৃদ্ধ মানুষ। খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলার কারনে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অসুখ- বিসুখ প্রায় সারা বছরইলেগে থাকে এএলাকার মানুষের। এমন কি বন্ধুবান্ধব ও আত্নীয় স্বজনের কাছে বাড়ীর  ঠিকান দিতে লজ্ঝাবোধ করি। তাই ময়লার ভাগাড়টি যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হোক। 

পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল বিশ্বাস শফিকুর রহমান  টুলু বলেন, ২৬/২৭ বছর আগে পৌর সভা গঠন করা হয়েছে, কিন্তু পৌরবাসী সঠিকভাবে পৌর কর পরিশোধ করলেও সুযোগ- সুবিধা পাচ্ছে না। পৌরসভার সব বর্জ্য নাচনাপাড়া- -টিয়াখালী ডাম্পিং ষ্টেশন এ না ফেলে শহরের আশপাশের খালী জায়গায় বর্জ্য ফেলে রাখে এর দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। মশা- মাছি এত বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ধ্যা আসার আগেই বাসাবাড়ী দরজা জালানা বন্ধ করে মশারি টাঙ্গিয়ে কাচিকাচা শিশুদের রাখতে হয়। বর্তমানে কলাপাড়া শহরে আশংকাজনক হারে মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু মশা নিধন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। মশা নিধনের নামে একটি মেশিন দিয়ে কিছু ক্রেশিন মিশ্রিত নামমাত্র ওষাধ ছিটিয়ে  নাগরিকদের শান্তনা  দেয়া হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। 

কলাপাড়া পৌর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৪৫) জানান, পৌর সভায় জম্মগ্রহন করেছি।পৌরসভা নির্মিত হয়েছে ১৯৯৭ সালের মার্চ মাসে তাতে প্রায় ২৬/২৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমরা নাগরিকরা রীতিমত পৌরকর পানির বিল বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন কর আদায় করে থাকি। কিন্তু নাগরিকদের যে সুযোগ- সুবিধা পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পাওয়া উচিত তা কি আমরা আজও পেয়েছি। এ ছাড়া ময়লা আবর্জনায় পৌরসভার প্রতি রাস্তার আশপাশে তার মধ্যে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে, কলাপাড়া উপজেলার স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে, কবরস্হানে পুর্ব পাশে খালের পাড়ে। 

বাদুরতলী স্লুইস পশ্চিম পাশে খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে, রহমতপুর গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে, মাদ্রাসা রোডে, খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস সরকারী  ডিগ্রি কলেজের পূর্ব পাশে ময়লা আবর্জনা স্তুপ রয়েছে।ওই ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে জনসাধারণ পথচারী ও এলাকাবাসী। কলাপাড়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ভূমি অফিসের সীমানার মধ্যে উম্মুক্ত স্হানে ময়লার ভাগার থাকায় এখানে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক বেওয়ারিশ কুকুর খাবারের সন্ধানে এসে ময়লা আবর্জনা ছিটাছিটি করায় দুর্গন্ধ আরও বৃন্ধি পায়। এতে ক্লাবের সদস্যসহ পথচারীও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। 

পৌরসভার প্যানেলমেয়র মো. হুমায়ূন কবির বলেন,কলাপাড়া পৌরসভা পরিচালনায় জনবল কম থাকায় পরিচ্ছন্নতায় ব্যাঘাত হচ্ছে। এছাড়া জনসাধারন সচেতন নহে।পৌরসভা পরিপাটি রাখার জন্য সকল নাগরিকের অবশ্যকর্তব্য রয়েছে। কিন্তু পৌরসভার ব্যবসায়ী ও দোকানদারেরা আমাদের পৌরসভা থেকে রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য প্লাস্টিকের ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। ওই ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা না ফেলে তারা প্রেসক্লাবের সামনে খালী জায়গায় বর্জ্য ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা আবর্জনা নাচনাপাড়া ও টিয়াখালী পৌর ডাম্পিং ষ্টেশন এ নিয়ে ফেলে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলচ্ছে। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন