মঠবাড়িয়ার মুন্নী হত্যা মামলার পলাতক আসামি টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ের শিকার ২০ দিনের মাথায় লামিয়া আক্তার মুন্নি (১৫) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলার পলাতক আসামি নিহতের শ্বশুড় সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম সরদার (৪৭) কে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে রোববার (২ এপ্রির) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শহীদুল উপজেলার বড় হারজী (টাক বাজার) গ্রামের লাল মিয়া সরদারের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের ৫ বছর পর রশি টানাটানির কারনে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া লামিয়া আক্তার মুন্নির সম্প্রতি বড় হারজী গ্রামে ওই শহীদুল ইসলাম সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হাসান (১৯) এর সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় গত ২০ মার্চ বিকেলে মুন্নিকে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন মারধর করে। পরে গুরুতর আহত মুন্নিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানে গভীর রাতে মুন্নীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করলে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নিহত মুন্নির বাবা মোসারেফ হেসেন ঢাকায় থাকা কালীন অবস্থায় খবর পেয়ে ২২ মার্চ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের লাশ হিমাঘর থেকে মেয়ের লাশ সনাক্ত করে এলাকায় নিয়ে আসেন এবং পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডে পিতা চান মিয়া হাওলাদারের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দেন।
এদিকে এঘটনায় নিহত মুন্নির মা শাহিদা বেগম বাদী হয়ে ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া থানায় মেয়ের শ্বশুড় শহীদুল ইসলাম ও জামাত হাসান সরদারসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। শাহিদা বেগম উপজেলার ভেচকি গ্রামের শহিদুল ইসলাম জমাদ্দারের মেয়ে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিহত মুন্নিন শ্বশুড় শহীদুল ইসলাম সরদার টঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শহীদুলের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার (৩ এপ্রিল ) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এইচকেআর
