আমতলীতে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বাড়ছে

বরগুনার আমতলীতে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। গাড়িগুলো বন্ধে কার্যকরী দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে একদিকে যেমন সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। 

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এই অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন স্থানে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে অনেকে। লাইসেন্সবিহীন এসব যানবাহন প্রশাসনের নাকের ডগায় চলাচল করলেও চালকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ও ১টি পৌরসভার  প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়কে অবৈধ ট্রলি, মাহিন্দ্রা, ভটভটি, নছিমন, করিমন, ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন অবাধে চলছে। লাইসেন্সবিহীন এসব যানবাহন আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে বিনা বাধায়। এসব যানবাহন চালকদের না আছে লাইসেন্স, না আছে তেমন কোন প্রশিক্ষণ। অধিকাংশ যানবাহনের চালকরা ফ্রি স্টাইলে  সড়কে দাপিয়ে বেড়ালেও কেউ প্রতিবাদ করছে না। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে এইসব যানবাহন চলাচল করছে। শুধু নজরদারির অভাবে অবৈধ এইসব যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এইসব ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁযার কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশও।

দানবাকৃতির ট্রলি (ট্রাক্টর) নামক গাড়ী মূলত কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হলেও  কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা তাতে অতিরিক্ত চাকা ও বডি সংযোজন করে ব্যবহার করছে মাটি, বালু ও ইট বহনের কাজে। উক্ত ট্রলি গাড়ী কৃষি কাজে ব্যবহার না করে তা অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে সড়কে চালানো হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে অদক্ষ প্রশিক্ষণ বিহীন ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানোর ফলে সড়কে দুর্ঘটনার প্রকোপ বেড়েই যাচ্ছে। বর্তমানে আমতলীতে  এই ট্রলি গাড়ী দিনে রাতে চলে মহাযজ্ঞ। জানা যায়, কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি হতে মাটি কেটে বিক্রি করার কাজে উক্ত ট্রলি (ট্রাক্টর) গাড়ী ব্যবহার করে।

এদিকে আমতলী  চৌরাস্তা  রাস্তার  মোড়ে হাইওয়ে রাস্তার  উপরেই রয়েছে ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মাহিন্দ্রা  গাড়ীর স্ট্যান্ড। একই ভাবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আমতলীর  একাধিক স্থানে পাকা রাস্তার উপরেই গড়ে উঠছে মোটর সাইকেল ও অটো গাড়ীর স্ট্যান্ড। ফলশ্রুতিতে উপজেলার সদর বাজারে মাঝে মধ্যে যানজট লেগেই থাকে এবং পথচারীসহ জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন আরো বেশি তৎপর হবে। সর্বস্তরের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।