প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে জন্ম নেয়া নবজাতকের বাড়িতে জন্ম সনদ পৌঁছে দিলেন ইউএনও


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে সদ্য জন্ম নেয়া এক নবজাতকের বাড়িতে জন্মের মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে জন্ম সনদ নিজ হাতে পৌঁছে দিলেন ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম।
বুধবার (১ মার্চ ) বিকেলে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা ঝুমুরের গর্ভে সদ্য জন্ম নেয়া কন্যা সন্তানকে দেখতে ছুটে যান তিনি। তাকে দেখে পরিবারের সবাই আনন্দে উৎফুল্ল হন তখন।
এ সময় তার সাথে পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার, উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তার এবং পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ ইন্দুরকানী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জে আই লাভলু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান ঝুমুরের হাতে তার সন্তানের জন্য ১৪ দিনের মধ্যে তৈরী হওয়া জন্ম সনদ তুলে দেন। পরে তার শিশু সন্তানের জন্য ইউএনও এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানের এমন মহতী উদ্যোগে ঝুমুরসহ আশ্রয়ণের অন্যান্য বাসিন্দারা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জানা যায়,গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঝুমুর তার মা শাহিনুর বেগম ও ছয় বছরের শিশু সন্তান নুর আলীমকে নিয়ে সরকারের দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ওঠেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি গৃহিণী ঝুমুরের কোলজুড়ে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। নাম রাখা হয় তার খাদিজা আক্তার। ঝুমুরের স্বামী কাউসার হাওলাদার একজন পেশায় রিক্সা চালক। তিনি রাজধানী ঢাকায় থাকেন। ঝুমুরের পরিবারের অসহায় অবস্থা জানতে পেরে ইন্দুরকানীর ইউএনও এবং পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রয়ণে একটি সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার বলেন, ঝুমুরের স্বামী পেশায় একজন রিক্সা চালক। তাদের কোন জায়গা জমি নেই। তাই মাথা গুজার ঠাই হিসেবে মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপর হিসেবে এই আশ্রয়ণে তাদেরকে একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা কিভাবে আছেন ইউএনও সহ আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সবসময় খোঁজখবর নিচ্ছি।
ঝুমুর তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, প্রধানমন্ত্রী আমার মত এক অসহায় নারীকে মাথা গোঁজার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আশ্রয়ণে থাকা অবস্থায় গত কয়েকদিন আগে আমার একটা মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমার মেয়েকে দেখতে ইউএনও স্যার এবং ইউপি চেয়ারম্যান এখানে আসায় আমি খুব খুশি হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, যেহেতু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তাই আমরা মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে নবজাতকের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিজ হাতে তা বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
এইচকেআর
