ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news

বন্ধের দু’দিন আগেই কুয়াকাটায় বুকিং ৯০ শতাংশ হোটেল

বন্ধের দু’দিন আগেই কুয়াকাটায় বুকিং ৯০ শতাংশ হোটেল
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। তবে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর লম্বা ছুটিগুলোতে অগ্রীম বুকিং হচ্ছে সকল হোটেল-মোটেলগুলো। আগামী ২৩, ২৪ ডিসেম্বরের সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বরের বড়দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় বুকিং হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেল।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

তিনি আরো বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বড়দিনের ছুটি মিলে লম্বা একটি ছুটি হওয়ায় বছরের শেষদিকে ব্যাপক পর্যটক পাওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছি আমরা। এই ছুটিতে ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাকি রুমও বুকিং হবে বলে আশা করছি। তবে এই ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় এলে পর্যটকদের জন্য পরামর্শ অবশ্যই অগ্রীম হোটেল বুকিং দিয়ে আসার জন্য।

কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দোখা যায়, ডিসেম্বর মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পেশার ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের আগমনের আগেই তাদের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।

হৈমন্তী ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্তাধিকারী এসএম আলমাস বলেন, যখন কুয়াকাটায় অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপ থাকে তখন কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম ভাড়া দেওয়ার আসায় থাকে। যখন কেউ রুম বুকিং না দিয়ে এখানে চলে আসে তখন ওই সকল অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম বুকিং দেন। অগ্রীম বুকিং দিয়ে এলে এই সমস্যা আর হয় না।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, আজকের থেকেই পর্যটকদের যে আগমন বেড়েছে তাতেই মনে হচ্ছে আগামী শুক্রবার তিল ধারণের ঠাঁই হবে না কুয়াকাটায়। তাই আমরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকদের সেবা দিতে পারি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। তারপরও আমরা ক্রাউড সময়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি যাতে নির্বিঘ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।

জানা যায়, কুয়াকাটাতে ছোট-বড় ১৫০টি হোটেল রয়েছে যার ধারণক্ষমতা ১৪-১৫ হাজার। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে অসংখ্য পর্যটকের আগমনের কারণে অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি ও গাড়ির ভেতরে রাত্রী যাপন করেন। আবার অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন