কুয়াকাটায় হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক


টানা তিন দিনের ছুটি সামনে রেখে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ, গেস্টহাউস এবং রিসোর্ট থাকলেও বুকিংয়ে রুম পাচ্ছেন না সব পর্যটকরা। ফলে ট্যুর বাতিল করছে অনেকেই।
হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির পর দিন বড়দিন উপলক্ষে ছুটি পাওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের স্থান কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে যারা বুকিংয়ের চেষ্টা করছে, তারা রুম পাচ্ছে না।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটন নগরীর বিভিন্ন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। তার ওপর টানা তিন দিনের ছুটিতে সে পরিমাণটা তিনগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাতে পর্যটকদের সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলো অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম। টোয়াকের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে পাঁচ শতাধিক রুম বুকিং হয়েছে।
আবাসিক হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল খান বলেন, আমাদের টানা তিন দিনের রিজার্ভেশন কমপ্লিট। প্রায় পনের দিন আগেই সব রুম রিজার্ভ হয়েছে। নতুন করে আমরা আর এ সার্ভিস দিতে পারছি না।
হোটেল রেইনড্রপসের অপারেশন ম্যানেজার দিপঙ্কর দিপু বলেন, আমাদের হোটেলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। ফলে নতুন করে যারা বুকিংয়ের চেষ্টা করে তাদের স্যরি বলতে হচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ জানান, অধিকাংশ হোটেলের রিজার্ভেশন ফুল। ফলে অগ্রিম রুম মিলছে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এখন টানা ছুটির ফাঁদে পড়ায় সেটা তিনগুণ হয়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা। যে পরিমাণ পর্যটকদের আগমন, সে পরিমাণে উন্নতমানের হোটেল কিংবা রিসোর্ট চালু হয়নি।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন মহিপুর থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।
এএজে
