পানি উন্নয় বোর্ডের বিরুদ্ধে দুই গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলনে


জনগণের রেকর্ডিয় সম্পত্তি বুঝ না দিয়েই পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবৈধভাবে খাল খননের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
শনিবার বেলা ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ওই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক ও রাজারচরের ভুক্তভোগীরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় তারা গ্রামবাসীর রেকর্ডিয় জমি বাদ দিয়ে খাল খননের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে দুই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুই গ্রামবাসির পক্ষ্যে ভুক্তভোগী মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে ডিংঙ্গামানিক থেকে রাজারচর পর্যন্ত কাল পূণঃখনন প্রকল্পের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং তাদের নিয়োগকৃত ঠিকাদার খালটি সি.এস, এস.এ, বি.এস নকশা অনুযায়ী যতটুকু খাল রয়েছে ততটুকু সঠিকভাবে পরিমাপ না করে ২৬ ফুট খালের পাশে ভোগদখলীয় জমিতে সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশানা দিয়ে ৫৫ ফুট খাল কাটা এবং খননের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা এবং নিয়োগকৃত ঠিকাদার খালের প্রসস্ততা নির্ধারণ করতে গেলে স্থানীয় জনগণের প্রশ্নের সম্মুখিন হন। এসময় তারা এস.এ এবং বিএস রেকর্ড চাইলে সেটা তাদেরকে দেখাতে অপরাগত প্রকাশ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এক পর্যায় তাদের রেকর্ডিয় সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়েই খালের সীমানা নির্ধারণ করে ভেকু দিয়ে খাল খননের প্রস্তুতি নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, ‘এরি মধ্যে যতটুকু খাল কাটা হয়েছে তাতেই নদী থেকে খালের সংযোগস্থলে পানির প্রবল স্রোতে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে পানের বরজ, বসভিটা, পুকুরের মাছ, রবিশষ্য এবং বিভিন্ন সবজি বাগানসহ অন্তত এক হাজার দুইশত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
প্রাচীনতম গ্রাম এবং গ্রামীন ঐতিহ্য ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘যে ব্যক্তির পাঁচ শতাংশ জমি আছে, যাতে ঘর তুলে বসবাস করছে, তা যদি খালে চলে যায় তাহলে সেই মানুষটি পরিবার নিয়ে পথে বসবে। সে মাথাগোজার সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলবে।
তিনি দাবি করেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ মে পানি উন্নয়ন বোর্ডে গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলীর আচারণ আমাদের আহত করেছে।
একই দিন ওই কাজ স্থগিত চেয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হলে তিনি বিষয়টিতে যাচাই-বাচাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। প্রশাসন আমাদের দাবি এবং অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চলমান সংকট দূর করবেন বলে আশাব্যক্ত করেন তারা।
কে.আর
