ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

বিএনপিকে বিরোধী দল বলায় রাঙ্গার আপত্তি

বিএনপিকে বিরোধী দল বলায় রাঙ্গার আপত্তি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বিএনপিকে বিরোধী দলায় আপত্তি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। দলটিকে এ আখ্যা দিয়ে সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তব্য একপাঞ্জ করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, এ সংসদে আমরাই (জাপা) বৃহত্তর বিরোধী দল, এখানে কোনো ভুল নেই।
সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ বলেন, অনেক সংসদ সদস্য বিএনপির সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের বিরোধী দল বলেন। সংসদে আমরা বৃহত্তর বিরোধী দল। আমরা বিরোধী দল এখানে কোনো ভুল নেই। সংসদ সদস্যবৃন্দরা বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দল বলেছেন তা একপাঞ্জ করার অনুরোধ করছি।

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক চেষ্টা করেন। কষ্ট করে আজকে এই সেতুটি দাঁড় করিয়েছেন। আমার মনে হয় সেতুটি উনি (প্রধানমন্ত্রী) সম্পন্ন করতে না পারতেন, তাহলে নিজের ক্ষতি নিজেই করে বসতেন।

এ সময় স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চান রাঙ্গা। তিনি বলেন, এরকম একটি সম্ভাবনা উনার (প্রধানমন্ত্রীর) মধ্যে আমি দেখেছিলাম। এনি হাউ কষ্টটা করতে হবে। উনি এটা করেছেন। যারা পরের ভালো দেখতে পারে না। পরশ্রীকাতরতা যাদের মধ্যে আছে। তারা বলেছেন এটা করতে পারবেন না। এগুলো দেখার সময় উনার নেই। উনি যেভাবে দেশটার উন্নতি করছেন। আরও করবেন। আমরা তা বিশ্বাস করি।

ফোক শিল্পী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের একটি গানের লাইন উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, বুকটা ফাইট্টা যায়। গানের মতো ওদের বুকটা ফাইট্টা যায়। ওই জন্য একবার বলে ভেঙে পড়বে। একবার বলে এই হবে; একবার বলে ওই হবে। কালকে (রোববার) আমাদের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, ‘না হয় নৌকায় যাবেন। ’ নৌকায় আবার কেমনে যায়। এটা তো আরেকটি বিপদ। তাহলে কিসে যাবে। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এ দেশটি আমাদের। এ দেশটা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। এনি হাউ, দেশটাকে রক্ষা আমাদের করতে হবে। এজন্য যা করতে হয় আমাদের করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি মানুষের খেতে-পরতে কতকুটু সুযোগ সুবিধা লাগে সেটা হওয়ার পর কেউ দুর্নীতি করলে তার সাথে সমঝোতা করার কিছু আছে বলে মনে করি না। দুর্নীতিবাজরা আমলা হোক বা রাজনীতিবিদ হোক বা অন্য কেউ হোক তারা নিজেরাও জানেনা তাদের কত টাকা আছে। তাদের সন্তানেরা উশৃঙ্খলে চলে গেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন। সমস্ত এমপি সাহেবদের খোঁজ দেখেন যারা এর সাথে জড়িত তাদের একটি সন্তানও মানুষ হয়নি। আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করা দরকার। আমার সংসদে আসতে একটা কোট দরকার, একটি টাই দরকার-এ টুকু বেশি। আমি যদি এখন বিদেশ থেকে বানিয়ে নিয়ে আসি। বিদেশ থেকে আয়রন করে আনি, বিদেশ থেকে জুতা কালি করে আনি- এগুলো মানুষ পছন্দ করে না।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন