ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

পল্লবী মৃত্যুরহস্যে নতুন চরিত্র কে এই স্টিভ?

পল্লবী মৃত্যুরহস্যে নতুন চরিত্র কে এই স্টিভ?
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী হত্যাকাণ্ডের নতুন চরিত্র কে এই স্টিভ? পল্লবী-মৃত্যুতে এটাই এখন অন্যতম বড় প্রশ্ন তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যুরহস্য নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। তদন্তে নেমে পল্লবী এবং মূল অভিযুক্ত তথা পল্লবীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর ফোন খতিয়ে দেখতেও শুরু করে তদন্তকারী পুলিশ। আর দুজনেরই ফোন দেখতে গিয়ে তদন্তকারী দলের কাছে একটি নাম বার বার উঠে আসে। সূত্রের খবর, সেই নামটি হল ‘স্টিভ’। সূত্রের খবর, সাগ্নিক এবং পল্লবীর বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও উঠে আসে নামটি।

সাগ্নিক একটি বেআইনি কল সেন্টার চালাতেন বলে অভিযোগ। স্টিভ নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে বেআইনি কল সেন্টারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও। কিন্তু কে এই স্টিভ? এবং পল্লবী-সাগ্নিকের সঙ্গেই বা তার কী যোগ রয়েছে? এই উত্তর পেতে নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেও কোনও কূল-কিনারা পায়নি পুলিশ। তবে, যে বেআইনি কলসেন্টার সাগ্নিক চালাতেন বলে অভিযোগ, তার কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে। সূত্রের খবর, এই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, স্টিভ আর কেউ নন খোদ সাগ্নিকই।

পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিকের কল সেন্টারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যোগ রয়েছে। এবং অস্ট্রেলিয়ার পরিচিতদের কাছে সাগ্নিক নিজেকে স্টিভ বলেই পরিচয় দিতেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে সাগ্নিক এই নাম শুধু অস্ট্রেলিয়াতে ব্যবহার করতেন, না অন্য কাজেও ব্যবহার করতেন, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও সূত্রের খবর।

বৃহস্পতিবার সাগ্নিকের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ ৩০মে পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। সাগ্নিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলো আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলেই আদালতে তদন্তকারী দল জানিয়েছে। এরপর আদালতে সাগ্নিকের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
প্রসঙ্গত, ১৫ মে পল্লবীর গরফার ফ্ল্যাটে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিনেত্রীর গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। মেয়ে যে, এইভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে চাননি পল্লবীর বাবা নীলু। তিনি রবিবারই জানিয়েছিলেন, পল্লবী এমন কাজ করতে পারেন না। ওকে নিশ্চয়ই কেউ খুন করেছে।

পরে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এর পরই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের শেষে সাগ্নিককে গ্রেফতার করে গরফা থানার পুলিশ। যতই দিন এগোচ্ছে, পল্লবীর মৃত্যুরহস্যে ততই নতুন জট পাকাচ্ছে-খুলছে। উঠে আসছে নতুন নতুন চরিত্র এবং একাধিক দাবিও। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবী আত্মহত্যা করেছেন বলে উঠে এলেও তার মৃত্যুর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, তা খুঁজতে তৎপর পুলিশ।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন