৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ বাঁচালো দক্ষিণ আফ্রিকা


সেঞ্চুরিয়ানে দুর্দান্ত জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে প্রথমবার হেরে মানসিকভাবেও পিছিয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটের জয়ে সমতায় এনেছে সিরিজ।
‘পিংক ডে ওয়ানডে’খ্যাত এই ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সাল থেকে। এরপর থেকে এই ম্যাচ পর্যন্ত ১০টি ম্যাচে ৮টি তে জয় পেল প্রোটিয়ারা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাট করতে। এই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটা খানিক পরেই প্রমাণিত হয়ে যায়। যেমনটা বলছিলেন টাইগারদের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা ম্যাকেঞ্জির মতে, উইকেট উঁচু-নিচু ছিল। যা বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (১), সাকিব আল হাসান (০), লিটন দাস (১৫), ইয়াসির আলী (২) ও মুশফিকুর রহিম (১১)।
বিপাকে পড়া দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। দুজনের ৬০ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৫ (৪৪) রানে বিদায়ে।
রিয়াদের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দেন আফিফ। দুজনের জুটিতে আফিফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৮৬ রানের জুটি ভাঙে ৭২ (১০৭) রান করা আফিফের বিদায়ে।
এরপর মিরাজও ফেরেন সাজঘরে। এই ডান-হাতির ব্যাটে আসে ৪৯ বলে ৩৮ রান। এরপর বাকি ব্যাটাররা রান তুলতে ব্যর্থ হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বার ৫ উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি নিগিদি, ওয়েইন পার্নেল, তাবারিজ শামসি ও রাসি ভ্যানডার দুসেন।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালান দ্রুত নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসেন ম্যাচ। ডি কক একপ্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ২৬ বলে। অন্যপ্রান্তে মালান দেখেশুনে ব্যাট চালান।
দুজনের ৮৬ রানের জুটি মেহেদী মিরাজ ভাঙেন মালানকে ২৬ (৪০) রানের মাথায় বোল্ড করে। ব্যক্তিগত ৬২ (৪১) রানের মাথায় সাকিবকে ছক্কা মারতে গেলে বাউন্ডারিতে থাকা আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন কক।
তাতে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার জয়রথ থেমে যায়নি। বাকি থাকা এক শ’ রান তোলার পথে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ৩৭ (৫২) রানে ফেরান আফিফ। তবে বাকি রান ১২ দশমিক ৪ ওভার বাকি থাকতে অনায়াসে তুলে সিরিজ সমতায় আনেন কাইল ভার্নে ও ভ্যানডার দুসেন। ভার্নে অপরাজিত থাকেন ৫৮ (৭৭) রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মেহেদী মিরাজ ও আফিফ হোসেন। আগামী ২৩ মার্চ অলিখিত ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্ট পার্কে।
এইচকেআর
