বরিশালে ডায়রিয়ার প্রকোপের জন্য দায়ী ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়া


ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়ার কারণেই বরিশালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন উৎসের পানি পরীক্ষা করে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটরিয়ার অস্তিত্ব পায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটি। অনাবৃষ্টি ও মিঠা পানির প্রবাহের অভাবে বিভিন্ন উৎসের পানিতে লবণাক্ততা বাড়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে।
শনিবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের ৬ জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে নতুন করে সাড়ে ৮শ নারী-পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করে। আগের ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যাটা ছিল ৮৯৬। সে হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ হাজার ২৩৯ জনে। মারা গেছেন ১২ জন ডায়রিয়া রোগী।
এদিকে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। এ অবস্থায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বয়স্ক ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। পাশাপাশি গোসল, হাঁড়ি-পাতিল ধোয়াসহ সব কাজে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন উৎসের পানি পরীক্ষা করে ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটরিয়ার অস্তিত্ব পায় আইইডিসিআর।
প্রসংগত, গত সাড়ে তিন মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় পাঁচ হাজার ৫২৯, পটুয়াখালীতে ৯ হাজার ১৩৮, ভোলায় ১০ হাজার ৫১৭, পিরোজপুরে চার হাজার ৯৮২, বরগুনায় ছ’হাজার ৫৬৬ এবং ঝালকাঠিতে চার হাজার ৬২৮ জন। মারা গেছে বরিশালে পাঁচ, পটুয়াখালীতে চার এবং বরগুনায় তিন জন।
এমবি
