ইফতারে যা খাওয়া উচিত


দিনভর রোজা রাখার পর অনেকেই ইফতারে অনেক বেশি খেয়ে থাকেন। অনেকে খাবার গ্রহণে নিয়ম মানার ক্ষেত্রে উদাসীন। এতে পেটের পীড়াসহ নানাবিদ অস্বস্তিতে পড়তে পারেন রোজাদার।
এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, আমরা খাবার খাই, কিন্তু শরীরের মধ্যে সেটার কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয় সে বিষয়টা মাথায় রাখি না। এখন রোজার সময় ১৩/১৪ ঘণ্টা পানাহার ছাড়াই থাকছি। আমরা যদি আমাদের পাকস্থলীর কথা চিন্ত করি, এই অর্গানটি কিন্তু বেশি বড় না। সেক্ষেত্রে আমরা যদি ইফতারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করি, তাতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পাকস্থলীটা সাধারণত দেখা যায় যে, ৭৩ এমএল পর্যন্ত এটি বিশ্রাম অবস্থায় থাকে। তো ভেতরে যখন খাবারটা যাবে, তখন দেখা যাবে ১ লিটার পর্যন্ত এটির প্রসারণ ঘটতে পারে। তবে আমরা যদি অতিরিক্ত চাপাচাপি করে খাবার গ্রহণ করি, তাহলে সর্বোচ্চ তিন লিটার পর্যন্ত প্রসারণ হবে।
তিনি বলেন, এর ফলে পেটে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হবে। বদহজম, বায়ু সমস্যা, এসিডিটির সমস্যাসহ পাশাপাশি অস্বস্তিতে ভুগতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, রোজা থেকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে প্রতিনিয়ত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগি। কাজেই খাবার গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এই পুষ্টিবিদ বলেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করার পরেই সাধারণ পানি না খেয়ে লেবুর পানি খেতে পারেন। তবে লেবুর পানিতে চিনি মেশানো যাবে না। কারণ চিনি কিন্তু শর্করা। আমরা যখন শর্করা জাতীয় খাবারটা একেবারে প্রথমে গ্রহণ করবো সেক্ষেত্রে দেখা যাবে আমাদের শরীর ঐ শর্করাটাকে ভেঙে এনার্জিতে রূপান্তর করবে। এর ফলে আমরা যখন অন্যান্য আঁশজাতীয় খাবার খাবো, যেগুলো আমাদের শরীরে প্রয়োজন (ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন) সেগুলো সঠিকভাবে শোষণ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, যেহেতু রমজান মাসে আমরা দীর্ঘ সময় পানাহার ব্যতীত থাকছি, সে কারণে আমাদের একটা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যাতে আমাদের শরীরে প্রতিটি পুষ্টিগুণ শোষিত হয়। সেজন্য প্রথমে খেজুর মুখে দিয়ে পানি পান করে নিলাম, তারপর আস্তে আস্তে করে তরল বা সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান শোষনে সেটি সাহায্য করবে।
এমইউআর
