নলছিটিতে আদালতের নির্দেশ মানছেন না প্রতিপক্ষরা


ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ না মানার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পক্ষের বিরুদ্ধে। বিরোধীয় জমি দখলে নিতে কৌশল অবলম্বন করে মসজিদ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহম্মেদ এ অভিযোগ করেন। এক একর ১৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৯ শতাংশের মালিক হয়েও জমি বুঝে পাচ্ছেন না সাবেক এ জনপ্রতিনিধির পরিবার।
অভিযোগে জানা যায়, নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি মৌজার এক একর ১৬ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে ৩৯ শতাংশের মালিক মো. মোতালেব হাওলাদার, রশিদ উদ্দিন আহম্মেদ, লুঃফর রহমান, নাছিমা বেগম ও বোন মৃত হালিমোন বেগমের ছেলে (ওয়ারিশ সূত্রে) হাবিবুর রহমান। বাকি জমির মালিক চাচাতো ভাই তোফাজ্জেল হোসেন ও তাঁর স্বজনরা। তাদের পৈত্রিক এ সম্পত্তি ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টন করা হয়নি। নিজেদের ইচ্ছেমত তোফাজ্জেল হোসেন ও তাঁদের ওয়ারিশরা দখল করে ভোগ করছেন। জমি বন্টনের জন্য এক পক্ষের ওয়ারিশদের পক্ষে মোতালেব হাওলাদার গত ১৯ জুলাই ঝালকাঠির নলছিটি সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তোফাজ্জেল হোসেন ও তাদের পক্ষের ১৭ জন ওয়ারিশকে বিবাদী করা হয়। আদালত ৭ দিনের মধ্যে বিবাদীদের বিষয়টি আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়া সত্ত্বেও তারা হাজির হয়নি। পরে আদালত জমিতে স্থিতাবস্থা আদেশ দেন। এ আদেশের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ৩১ আগস্ট দুই মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এ আদেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক তোফাজ্জেল হোসেন ও তাঁর পক্ষের ওয়ারিশরা জমি দখলে রাখার জন্য কৌশলে রাস্তার পাশে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি নলছিটি থানা পুলিশের নজরে দিয়েও কোন সুরহা পাচ্ছেন না মোতালেব হাওলাদার ও তাঁর স্বজনরা।
মোতালেব হাওলাদারের ভাই দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ করেন, আমাদের ভাই বোন ও ভাগিনাদের সম্পত্তি এখনো বুঝিয়ে দিচ্ছে না আমাদের অপর পক্ষের ওয়ারিশরা। তারা নিজেদের ইচ্ছেমত জমি দখলে নিয়ে ভোগ করছেন। যখন আমরা আদালতে বন্টন মামলা করি, তখন তারা জমির মাঝখানে রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিরোধীয় জমিতে মসজিদ নির্মাণের কোন নিয়ম নেই। তারা ধর্মীয় বিধানও মানছেন না, আবার আদালতের নির্দেশও মানছেন না।
প্রতিপক্ষের রুস্তুম হাওলাদার বলেন, আমরা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। মসজিদ নিয়ে কারো বিরোধ থাকার কথা নয়। পুলিশ এসেও দেখে গেছেন আমরা মসজিদ নির্মাণ করছি। উভয় পক্ষ বসে একটি সুরহা করে দিলেই ভালো হয়। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার এএসআই মো. রিয়াজ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে এসেছি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচেকআর
